বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল অ্যাম্বুলেন্স, আহত ৫
Published: 17th, February 2025 GMT
পদ্মা সেতুর ৩১ নম্বর খুঁটির কাছে বাসের ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে পদ্মা সেতুর ওপরে এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনা কবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে একটি অ্যাম্বুলেন্স পদ্মা সেতু পার হয়ে শিবচরের দিকে যাচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটির মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইলিশ পরিবহনের একটি বাস অতিরিক্ত গতির কারণে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
পরে খবর পেয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের প্যাট্রল টিম আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য শিবচরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি নকিব আকরাম হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর ওপর একটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৪
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছে। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, আব্দুল সোবহান (৬২), আব্দুল আজিজ (৪৫),রবিন (৩৮) ও মুক্তার হোসেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনায় মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ আজিবপুর এলাকার বাসিন্দা বিবাদী আহমাদুল্লাহ (৫০), মোহাম্মাদ হোসেন (৪৫), সফর আলী (৪৫), জাফর হোসেন (৫০) সর্ব পিতা মৃত মমির আলী, সাইফুল ইসলাম (২৬), ফয়সাল হোসেন (২৪) উভয় পিতা মোহাম্মাদ উল্যাহ, রব কাজির ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), কামাল হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জন নুর বানু বেগম (৬৫) এর সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং ছাপাখানা মোড়ে ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমি দখল করতে যায়।
মানুষের মুখে দখলের কথা শুনে নুর বানু বেগমের ছেলে মুক্তার হোসেন উক্ত জমির সামনে গেলে উক্ত বিবাদীরা মুক্তার কে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মুক্তার হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উক্ত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র এসএসের পাইপ দিয়ে মুক্তারকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
মুক্তার কে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে মুক্তারের চাচাতো ভাইরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে উক্ত বিবাদী গং। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাদীদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে মুক্তার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী মুক্তার হোসেন জানান, আমার মা নুর বানু বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ ছাপাখানা মোড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।আমার মায়ের নামে নামজারি খাজনা সহ যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। উক্ত বিবাদী গং দীর্ঘদিন যাবত এই জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছে।
বিবাদীরা সোমবারে বিকালে আমার মায়ের জমি দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে বিবাদীরা দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমি উক্ত বিবাদীগণের কঠিন শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (উপ- পরিদর্শক) এসআই সালেকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।