পদ্মা সেতুর ৩১ নম্বর খুঁটির কাছে বাসের ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে পদ্মা সেতুর ওপরে এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনা কবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে একটি অ্যাম্বুলেন্স পদ্মা সেতু পার হয়ে শিবচরের দিকে যাচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটির মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইলিশ পরিবহনের একটি বাস অতিরিক্ত গতির কারণে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
পরে খবর পেয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের প্যাট্রল টিম আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য শিবচরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি নকিব আকরাম হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর ওপর একটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫