আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসের ইএসএমএ জাদুঘরের কক্ষ সংখ্যা ১৭; সব কক্ষ ঘুরে দেখতে মোটামুটি ৯০ মিনিট লাগে। কক্ষগুলোতে রয়েছে সত্তরের দশকে আর্জেন্টিনার সামরিক জান্তার গুমের শিকার ব্যক্তিদের সাক্ষ্য, দেয়াল লিখন, নির্যাতনের হাতিয়ার, জাতীয় গুম কমিশনের ঐতিহাসিক দলিলপত্র, সামরিক জান্তার বিচারবিষয়ক নথি, গুম বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোপন দলিল ইত্যাদি। জাদুঘরটি একসময় ছিল আর্জেন্টিনার নেভি স্কুল অব মেকানিক্সের (ইএসএমএ) অফিসার্স কোয়ার্টার, যা জান্তার গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সালের সামরিক স্বৈরশাসনকালে বিরোধীদের অপহরণের পর এই ভবনে বন্দি করে নির্যাতন চালানো হতো; অনেককে হত্যাও করা হতো। সে সময় গুমের শিকার ৩০ হাজারের মধ্যে অন্তত ৫ হাজার মানুষকে গুমের কাজে ভবনটি ব্যবহৃত হয়। এটিই ছিল আর্জেন্টিনার বড় গোপন বন্দিশালা। 
সামরিক জান্তার পতনের পর বেশ কয়েক বছরের অনিশ্চয়তা ও সিদ্ধান্তহীনতার পর বন্দিশালাটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। বিশ্বজুড়ে গুম প্রতিরোধ ও মানবাধিকার রক্ষায় গুমের স্মৃতি ধরে রাখার গুরুত্ব বিবেচনায় ইউনেস্কো ২০২৩ সালে এটিকে বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। লক্ষণীয়, কুখ্যাত বন্দিশালাটির বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি আর্জেন্টিনা ইতিবাচক হিসেবেই গ্রহণ করে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ স্বীকৃতিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ হিসেবে উদযাপন করেন। দেশটির মানবাধিকারবিষয়ক সেক্রেটারি হোরাশিও কোর্তি বলেছিলেন, ‘এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিগত সামরিক-বেসামরিক স্বৈরশাসন আমলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও অপরাধকে অস্বীকার বা লঘু করার তৎপরতার বিরুদ্ধে শক্ত জবাব।’ বলাই বাহুল্য, এতে কথিত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার বদলে মানবাধিকার রক্ষায় আর্জেন্টিনার অঙ্গীকারই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ইউনেস্কো বলছে, জাদুঘরের ভবনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের জুডিশিয়াল এভিডেন্স বা বিচারিক প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই ভবনের অবকাঠামোর কোনো ধরনের পরিবর্তন করা নিষিদ্ধ। ভবনটি সংরক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য ন্যূনতম যে কাজগুলো করা প্রয়োজন, সেগুলো বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এমনভাবে সম্পন্ন করা হয় যেন ভবনটির বিচারিক প্রামাণ্যতা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ কারণেই ইএসএমএ বন্দিশালার দেয়ালের দাগ, লেখা ও আঁকিবুঁকি অক্ষত রেখে দেওয়া হয়েছে। গুম ও বন্দিত্বের শিকার ব্যক্তিরা তাদের নাম, ফোন নম্বর, স্বাক্ষর, দলীয় পরিচয়, তারিখ ইত্যাদি লিখে বা খোদাই করে রেখেছিলেন। বর্তমানে দেয়াল লিখনগুলো নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা চালানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া আলোকচিত্র, স্কেচ, বন্দিদের সাক্ষ্য, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ইত্যাদি কাজে লাগানো হচ্ছে। আর্জেন্টিনার মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিরেকশন অব সাইটস অব মেমোরির মাধ্যমে এ কাজগুলো করা হচ্ছে।
আর্জেন্টিনার মতো ঐতিহাসিক ও আইনগত উভয় বিচারে বাংলাদেশে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালাগুলোকে যথাযথ সংরক্ষণ ও জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করা দরকার। আফসোস, আর্জেন্টিনায় সামরিক জান্তার পতনের ৪০ বছর পর সেই বন্দিশালাগুলো অক্ষত থাকলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার পতনের পরপরই আয়নাঘরগুলোতে নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে সাক্ষ্য-প্রমাণ ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব খর্বের চেষ্টা করা হয়েছে।

গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন গত অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে গোপন বন্দিশালায় আলামত নষ্টের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল। বিশেষত দেয়ালে গুমের শিকার ব্যক্তিদের লেখাগুলো রং করে মুছে ফেলার কথা জানিয়েছিল। শুধু তাই নয়, গুমে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি রক্ষায়’ বন্দিশালাগুলো পুরোপুরি অপসারণ করতে চাওয়ার কথাও সংবাদমাধ্যমে এসেছে (‘আয়নাঘরে’ সাজ বদল, নষ্ট গুমের আলামত, সমকাল, ৪ অক্টোবর ২০২৪)।

সম্প্রতি কয়েকজন গুমের শিকার ব্যক্তি, সংবাদকর্মী, উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সময়ও বিষয়টি উঠে আসে। তারা রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও, উত্তরায় অবস্থিত ডিজিএফআই ও র‍্যাব পরিচালিত তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন। কচুক্ষেতে ডিজিএফআই পরিচালিত বন্দিশালা পরিদর্শনের সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম একটি কক্ষ শনাক্ত করেন, যেখানে জুলাই আন্দোলনকালে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেই কক্ষের এক পাশে টয়লেট হিসেবে বেসিনের মতো কাঠামো ছিল। ৫ আগস্টের পর সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয় ও দেয়াল রং করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও বলেছেন, তাঁকে আটকে রাখা কক্ষের দেয়ালের ওপরের অংশের খোপগুলোতে এগজস্ট ফ্যান ছিল, যা এখন নেই। তিনিও মাঝের দেয়াল ভেঙে কক্ষ বড় করে ফেলার কথা বলেছেন (আয়নাঘরেই আটকে রাখা হয়েছিল, চিনতে পারলেন নাহিদ ও আসিফ, ডেইলি স্টার বাংলা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)।
গোপন বন্দিশালাগুলোর আলামত যদি এভাবে নষ্ট করা হয়, তাহলে একদিকে গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক উপাদান হাতছাড়া হবে, অন্যদিকে গুমের ঘটনার ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হবে। গোপন বন্দিশালাগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ এবং ঢাকঢাক গুড়গুড় বন্ধ না হলে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এগুলোকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে। অথচ গুম ছিল বিরোধী দল ও ভিন্নমত দমনে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারের বহুল ব্যবহৃত হাতিয়ার। 

গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের কাছে ১ হাজার ৬৭৬টি গুমের অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ৭৫৮টি অভিযোগের পর্যালোচনা থেকে দেখা গেছে, ৭৩ শতাংশ ভুক্তভোগী ফিরে এলেও বাকি ২৭ শতাংশ (অন্তত ২০৪ জন) এখনও নিখোঁজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে র‍্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই ও এনএসআই গুমের ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সংস্থাগুলো সাধারণত সাদা পোশাকে ভুক্তভোগীদের তুলে নিত এবং পরিচয় গোপন করার জন্য আরেক সংস্থার নাম ব্যবহার করত। গুমের শিকার ব্যক্তিদের কাউকে কাউকে ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে বিনিময়ের তথ্যও পেয়েছে তদন্ত কমিশন। আটকের পর ভুক্তভোগীদের সাধারণত গোপন অন্ধকার কক্ষে রাখা হতো এবং সেখানেই অমানুষিক নির্যাতন চলত। অনেক ক্ষেত্রে মাথায় গুলির পর লাশের সঙ্গে সিমেন্টভর্তি ব্যাগ বেঁধে ফেলে দেওয়া হতো নদীতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডকে ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে দেখাতে রেললাইনে লাশ ফেলে রাখা হতো। 
তদন্ত কমিশন এসব গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানালেও গুমের সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের শনাক্ত ও বিচারকাজ এখনও বাকি। অথচ তার আগেই বন্দিশালাগুলোতে কাঠামোগত নানা পরিবর্তন ঘটিয়ে গুমের আলামত ধ্বংস করা হয়েছে। 

শুধু আইনগত কারণেই নয়; ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গুমের পুনরাবৃত্তি রোধেও গুমের ইতিহাস ধরে রাখতে হবে। গুমের ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্ব বিষয়ে আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ বলেছিলেন, ‘যৌথ স্মৃতির মাধ্যমেই মানুষ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করা থেকে বিরত থাকে এবং শ্রেয়তর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যায়।’
এ কারণে শুধু আর্জেন্টিনা নয়; রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও গুমের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়া আরও অনেক দেশ সেই ইতিহাস সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন চিলির কুখ্যাত  ডিআইএনএর গোপন বন্দিশালাগুলোর একটি ‘লন্ড্রেস ৩৮’ একেবারে পূর্বাবস্থায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। জেনারেল পিনোশের স্বৈরশাসনের সময় গুম ও নির্যাতনে ব্যবহৃত দেশটির এ রকম আরও অনেক বন্দিশালাকে স্মৃতিস্থান হিসেবে সংরক্ষণ এবং সেখানে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম, গাইডেড ট্যুর, প্রদর্শনী, সেমিনারের আয়োজন হচ্ছে।

বাংলাদেশে গুম-সংক্রান্ত বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপর গুমের শিকার কয়েকজন ফিরে এলেও এখনও অনেকে নিখোঁজ। অনেকেই জানেন না, তাদের স্বজনের ভাগ্যে কী ঘটেছে। এমনকি যারা ফিরে এসেছেন, তাদের কোথায় আটকে রেখেছিল, সুস্পষ্ট জানা যায়নি। গুমে ব্যবহৃত গোপন বন্দিশালার সঠিক সংখ্যা ও অবস্থান এখনও অজানা। গুমের ঘটনায় কারা, কীভাবে যুক্ত, তা নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন। গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিচার ও সংস্কার বাকি। কাজগুলো সঠিকভাবে করতে হলে গুম-সংশ্লিষ্ট সব তথ্যপ্রমাণ, নথি যথাযথ সংরক্ষণ জরুরি। গোপন বন্দিশালাগুলোকে যথাযথ সংরক্ষণ এবং স্বৈরশাসনের দুঃসহ স্মৃতি হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

কল্লোল মোস্তফা: প্রকৌশলী; উন্নয়ন 
অর্থনীতিবিষয়ক লেখক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন আর জ ন ট ন র গ ম র ঘটন ব যবহ ত র পতন র উপদ ষ ট র জন য ন র পর ক ত কর জ দ ঘর ব ষয়ক সরক র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
  • তিন ভবনেই ১৫টি, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় কেন পল্টনকেন্দ্রিক