ওয়াশিংটনে বিমান দুর্ঘটনায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করল নিহত যাত্রীর পরিবার
Published: 19th, February 2025 GMT
ওয়াশিংটন ডিসির রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত এক যাত্রীর পরিবার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মামলা দায়ের করেছে।
গত ২৯ জানুয়ারি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৫৩২ একটি সামরিক ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সাথে মাঝ আকাশে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং উভয় বিমানই হিমশীতল পোতোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাণিজ্যিক বিমানের ৬৪ জন যাত্রী ও ক্রুসহ সামরিক হেলিকপ্টারের তিনজন কর্মী নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কেইসি ক্রাফটনের পরিবার এখন সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমেছে। মঙ্গলবার ক্রাফটনের পরিবার শিকাগোভিত্তিক আইন প্রতিষ্ঠান ক্লিফোর্ড ল’ অফিসকে নিয়োগ করেছে এবং ফেডারেল টোর্ট ক্লেইমস অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়েরের জন্য ফর্ম ৯৫ দাখিল করেছে।
ক্রাফটনের পরিবারের আইনজীবী বব ক্লিফোর্ড বলেছেন, ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের আশপাশের পরিবেশ তদারকি করা সংস্থাগুলো এবং মার্কিন সেনাবাহিনী সম্ভবত ‘ইচ্ছাকৃত অবহেলা’ করেছে, যার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, এয়ারলাইন্স এবং সামরিক সংস্থাগুলোর অবহেলার বিষয়ে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) ইতিমধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাই দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
আইন প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকান এয়ারলাইন্স, আমেরিকান ঈগল, পিএসএ এবং সম্ভাব্যভাবে সিকোরস্কি এয়ারক্রাফটের কাছে প্রমাণ সংরক্ষণ সংক্রান্ত চিঠিও পাঠিয়েছে।
এফএএ সম্ভাব্য মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে, এবং মার্কিন সেনাবাহিনীও সংবাদমাধ্যমের অনুরোধের সাড়া দেয়নি।
ক্রাফটন বব জোনস ইউনিভার্সিটিতে বিমান পরিচালনা নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং উইচিটা থেকে ব্যবসায়িক সফর শেষে ওয়াশিংটনে ফিরছিলেন। তিনি গার্ডিয়ান জেট নামক একটি বিমান পরামর্শদাতা সংস্থায় প্রযুক্তিগত সহায়তা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে বেঁধে মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে বেঁধে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছয়টি দোকান ভাঙচুর ও মালামাল লুট করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ অনইলবুনিয়া গ্রামের বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান হারুন অর রশিদ (৬৫) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ৯৯৯–এ ফোন করা হলেও এক কিলোমিটার দূরের কাঁঠালিয়া থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে আড়াই ঘণ্টা পরে।
হারুন অর রশিদ বলেন, ২০০৭ সালে বটতলা বাজারে ছয় শতাংশ জমি কিনে ছয়টি টিনের দোকানঘর তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন তিনি ও তাঁর দুই ছেলে। এর পেছনেই বসতঘর তৈরি করে তাঁরা বসবাস করছেন।
হারুন অর রশিদের ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, ভোরে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র হাতে বাড়িতে প্রবেশ করে অন্তত ১৫ জন দুর্বৃত্ত। প্রথমেই তারা পরিবারের সব সদস্যকে মারধর করে হাত–পা বেঁধে ফেলে। পরে ঘরের মধ্যে থাকা ৫টি মুঠোফোন ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় বাইরে অবস্থান করা ৫০ জনের একটি দল তাঁদের ছয়টি দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে মালামাল, টিন ও কাঠ ট্রাক ভরে নিয়ে গেছে। ছয়টি দোকানের মধ্যে ছিল মুদির দোকান, চায়ের দোকান, কসমেটিকসের দোকান ও মুরগির দোকান। ঘটনার সময় ভোরের আলো ফোটেনি, কেবল ফজরের আজান হচ্ছিল। দুর্বৃত্তরা তাঁর ছোট দুই বোনকে ব্যাপক মারধর করেছে।
মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি ফয়সাল আহম্মেদ নামের একজনের কাছ থেকে বটতলা বাজারে ছয় শতাংশ জমি কেনেন নাসির খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী। গত ২২ এপ্রিল জমির দলিল করেই তাঁদের জমিকে নিজের কেনা সম্পত্তি দাবি করে উচ্ছেদের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন নাসির খান। তাঁর ভাড়া করা লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির খানের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মং চেনলা বলেন, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, জনবল কম থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হয়েছে।