ব্রিজের নিচে পড়ে ছিল কাপড় ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ
Published: 19th, February 2025 GMT
নরসিংদীর শিবপুরে ব্রিজের নিচ থেকে কবির হোসেন (৩৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৭টার দিকে শিবপুর-জাল্লারা সড়কের ধনাইয়া নতুন ব্রিজের নিচ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কবির হোসেন জয়নগর ইউনিয়নের ধনাইয়া গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিবপুর জনতা ব্যাংক মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করছিলেন।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কবির হোসেন বাড়িতে না যাওয়ায় রাতেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে- মঙ্গলবার রাতে বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে রাতের কোনো এক সময় হত্যা করে ব্রিজের নিচে ফেলে রাখে। পরে বুধবার সকালে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
শিবপুর মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে মা-ছেলের কবর, সেই দৃশ্য কাঁদাচ্ছে এলাকার মানুষকে
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কেনেন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সেটি চালিয়ে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন জিয়া উদ্দিন (২৭)। সঙ্গে ছিল তাঁর এক চাচাতো ভাই। পথে নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জিয়া উদ্দিনের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (১৬)। জিয়া উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৩), মেয়ে মাহমুদা কায়সার (৮) ও ছেলে মানারুল ইসলামকে (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট এলাকায় ঘটে এই সড়ক দুর্ঘটনা। এরপর রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম মারা যান। জিয়া উদ্দিন উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর এলাকায়।
আহত জিয়া উদ্দিনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জিয়া উদ্দিনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মেয়ে মাহমুদা কায়সারের অবস্থাও শঙ্কাজনক। এর মধ্যেই তিনজনের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে পারিবারিক কবরস্থানে। পাশাপাশি খোঁড়া হয়েছে ফারজানা আক্তার ও তাঁর ছেলে মানারুলের কবর।
কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বামন সুন্দর এলাকার মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা-ছেলের জন্য পাশাপাশি কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখ সিক্ত হচ্ছে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় পুত্রবধূ, নাতিসহ পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি করছেন বিবি হালিমা। আজ সকালে