আমাদের সুস্থতার বেশির ভাগ আমাদের নিজেদের সহজ কিছু অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। নানা কারণে আজকাল চারপাশে অনেকেই অসুখী হয়ে ঘুরে বেড়ান। অথচ ছোট ছোট অভ্যাসের চর্চা করেই আমরা সুখে থাকতে পারি। আমাদের মানসিকভাবে প্রশান্তিতে থাকতে সহযোগিতা করবে, এমন পাঁচটি অভ্যাস নিয়ে আজকের আলোচনা।

মনোযোগিতা

মনোযোগিতা হলো ‘এখন, এখানে’ কী ঘটছে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকা। অর্থাৎ এ মুহূর্তে কেমন লাগছে, কী করছি, কী চাইছি ও চিন্তা করছি, সে ব্যাপারে সচেতনতা। পুরোনো নানা স্মৃতি মাথায় নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে ছুটতে গিয়ে আমরা যেন বর্তমানের মুহূর্তগুলোকে হারিয়ে না ফেলি, সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। মনোযোগিতার চর্চা আমরা বিভিন্নভাবে করতে পারি। যেমন খাওয়ার সময় অন্য কোনো কিছুতে নিজেকে ব্যস্ত না রেখে পঞ্চেন্দ্রিয় দিয়ে খাওয়া। মানে খাবার উপভোগ করার জন্য খাবারের বর্ণ, গন্ধ, চিবানোর শব্দ, হাত ও জিহ্বার সঙ্গে খাবারের সংস্পর্শ মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করা। তেমনি অন্যান্য কাজ যেমন গোসল, শরীরচর্চা, ধ্যান, ঘর ও বাইরের বিভিন্ন কাজও পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করার মাধ্যমে মনোযোগিতার চর্চা করা যেতে পারে। এই চর্চা আমাদের শরীর ও মনকে শান্ত রাখে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে সাহায্য করে। আজকাল স্মার্টফোনে আসক্তি আমাদের মনোযোগী জীবনযাপনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোন ব্যবহারে তাই সংযম ও বিবেচনা থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

কাজ ও বিশ্রামের ভারসাম্য

কাজ আমাদের সুস্থ রাখে। হোক তা ঘর বা বাইরের কাজ। নিজের পরিচয় তৈরিতে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতেও কাজ বা কর্মসংস্থান প্রয়োজন। পছন্দের কাজে যুক্ত থাকলে নিজের জীবনে যেমন স্বস্তি ও সচ্ছলতা থাকে, তেমনি পরিবার ও সমাজে অবদান রাখা যায়। কিন্তু কাজের নেশায় অবিরাম ছুটে চলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ভীষণভাবে ব্যাহত করে। তাই কখন কোথায় থামতে হবে, জানাটা জরুরি। সারা দিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য হলেও বিরতি নেওয়া, সপ্তাহে অন্তত একদিন ছুটি কাটানো এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সুস্থ থাকতে সহযোগিতা করে।

পছন্দের বই পড়েও নিজেকে খুশি করা যায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন য গ ত আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি অফিসার পদে নিয়োগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) আইটি অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেলের (QAC) অধীনে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

পদের নাম: আইটি অফিসার

পদসংখ্যা: ০১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম সিজিপিএ–৩.০০ (৪.০০ স্কেলে)–সহ চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। একাডেমিক জীবনের কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকা যাবে না।

প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে (যেমন কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স, একাডেমিক প্রশাসন, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন বা ডেটা অ্যানালাইসিস) স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন তিন বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ৪১ মিনিট আগেবয়সসীমা

সর্বোচ্চ ৪০ বছর।

বেতন–ভাতা

আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রের সঙ্গে বিস্তারিত সিভি, সব শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং দুই কপি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৮ ঘণ্টা আগে

আবেদনের ঠিকানা

পরিচালক,

ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ),

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৩ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ