এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, এসএসসির সূচিতে পরিবর্তন
Published: 20th, February 2025 GMT
চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৬ জুন। গতকাল বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা সময়সূচিতে বলা হয়েছে, ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এর পর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলিতে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা অথবা দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথমে বহু নির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। ৩০ নম্বরের বহু নির্বাচনীতে (এমসিকিউ) ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষায় সময় থাকবে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। আর ব্যবহারিকের ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহু নির্বাচনীতে ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহু নির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে উত্তীর্ণ করতে হবে। পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
এদিকে, বৈসাবি উৎসবের কারণে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর তারিখ ১০ এপ্রিল ঠিক থাকলেও বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সংশোধিত সময়সূচিতে দেখা যায়, ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষাটি হবে ১৩ মে। এতে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষের সময় পিছিয়েছে। ৮ মের পরিবর্তে এখন তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। এ ছাড়া আগের রুটিনের সব তারিখ ও সময় ঠিক আছে। আগের মতোই ১০ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এইচএসস ব যবহ র ক তত ত ব য় পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে রাশিয়াকে ১০-১২ দিনের সময়সীমা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের পথে অগ্রগতি দেখানোর জন্য রাশিয়াকে নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পথে অগ্রগতি দেখা না গেলে রাশিয়াকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সাড়ে তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাত নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে অগ্রগতি না হলে রাশিয়া ও দেশটির রপ্তানি পণ্যের ক্রেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। নতুন এই সময়সীমা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, এর আগে এ ধরনের হুমকি বাস্তবায়ন নিয়ে ট্রাম্প দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও এবার তিনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছেন।
‘আমি নতুন একটি সময়সীমা দিতে যাচ্ছি... আজ থেকে ১০ বা ১২ দিনের সে সময়সীমা। অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই... আমরা কোনো অগ্রগতিই দেখতে পাচ্ছি না।’ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টগতকাল স্কটল্যান্ডে অবস্থানকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ হুমকি দিয়েছেন।
স্কটল্যান্ডে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি সেখানে তিনি গলফও খেলেন।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি পুতিনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চলতি মাসের শুরুতে বেঁধে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে আনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নতুন একটি সময়সীমা দিতে যাচ্ছি... আজ থেকে ১০ বা ১২ দিনের সে সময়সীমা। অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই... আমরা কোনো অগ্রগতিই দেখতে পাচ্ছি না।’
এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ মনে করেন, ট্রাম্প ‘সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার খেলা’ খেলছেন। আর এ ‘খেলা’ যুক্তরাষ্ট্রকে একটি যুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মেদভেদেভ লেখেন, ‘প্রতিটি নতুন সময়সীমার মানে হলো একেকটি হুমকি এবং তা যুদ্ধের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নয়, বরং তাঁর (ট্রাম্পের) নিজ দেশের সঙ্গেই এই সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ’ ও ‘সময়োপযোগী’ উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন। তিনি মনে করেন, এই বক্তব্য শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সময়মতো তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শক্ত অবস্থানে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়, যা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধে ও মানুষের প্রাণ বাঁচানোর দিকে মনোযোগী হওয়ায় আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই।’