চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধীদের কমিটি থেকে ১৬০ জনের পদত্যাগের ঘোষণা
Published: 20th, February 2025 GMT
চাঁদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২১৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার এক দিন পর ১৬০ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ ঘোষণা দেন।
তাঁদের অভিযোগ, কোনো ধরনের আলোচনা না করেই সংগঠনের কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চাঁদপুরের অনেক ত্যাগী নেতাকে উপক্ষো করা হয়েছে।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদ শিহাব। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ে একটি ম্যান্ডেট নিয়ে সারা দেশের মতো চাঁদপুরেও আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে কেন্দ্র থেকে ২১৩ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এর কিছুই জানি না। আমরা মনে করি, একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে এই কমিটি থেকে চাঁদপুরের অনেক ত্যাগী নেতাকে উপক্ষো করা হয়েছে। এতে করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি বিতর্কিত কমিটি। এ জন্য কেন্দ্র ঘোষিত এই কমিটি থেকে আমরা ১৬০ জন সদস্য এই কমিটি বয়কট করে গণপদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।’
মুজাহিদ শিহাব আরও বলেন, ‘আমরা দাবি করছি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই কমিটি বাতিল না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই সিদ্ধান্তে অটল থাকব। প্রয়োজনে এই কমিটি বাতিলের জন্য নতুন কর্মসূচি দেব।’
গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চাঁদপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২১৩ সদস্যের এই কমিটিতে নাদিম পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও সৈয়দ সাকিবুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন