পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) আটটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করেছে প্রশাসন। ‘বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত শিক্ষার্থীদের জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে’ এসব নাম বদলানো হয়েছে বলে এক পরিপত্রে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও তিন মাস আগে শিক্ষার্থীরা শুধু একটি হলের নাম পরিবর্তনের আবেদন করেছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো.

ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে হলের নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হয়।

পরিপত্রে দেখা যায়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল-১–এর নাম বদলে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২–এর নাম বদলে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের নাম বদলে চাঁদ সুলতানা হল, মূল ক্যাম্পাসে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বদলে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম বদলে বিজয়-২৪ হল, বরিশাল ক্যাম্পাসে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বদলে জুলাই-৩৬ হল নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্মাণাধীন দুটি হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ছাত্র হলের নাম শের-ই-বাংলা হল ও নতুন ছাত্রী হলের নাম তাপসী রাবেয়া হল দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয়-২৪ হল নামকরণের আবেদন করেছিলেন। তবে পবিপ্রবি প্রশাসন গতকাল আটটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফিফ মাহামুদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের হলগুলোতে যদি এভাবে রাজনৈতিক নামকরণ করা হয়, তবে শিক্ষাঙ্গনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যখন যে দল ক্ষমতায় বসবে, তখন তাদের নামে হলের নামকরণ হবে। এটা ঠিক নয়। আমাদের এ চিন্তাভাবনা থেকে বের হওয়া দরকার। এগুলো বন্ধ না হলে ক্যাম্পাসগুলোতে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা থাকে।’

এদিকে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের নাম পরিবর্তন করে চাঁদ সুলতানা হল নামকরণ করায় গতকাল বৃহস্পতিবার হলের নারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পবিপ্রবি প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদ জানান। পরে অবশ্য তাঁদের কেউ এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কেউ রাজি হননি।

হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. ইকতিয়ার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪–পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত পবিপ্রবির ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির মতামত নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলকে জানাই। পরবর্তী সময়ে রিজেন্ট বোর্ডকে জানিয়ে আটটি হলের নামকরণের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।’

শিক্ষার্থীরা একটি হলের নাম পরিবর্তনের দাবি জানালেও আটটি হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘যেসব হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, তা আগে ছিল। বিগত সরকার ক্ষমতায় এসে নাম পরিবর্তন করেছে। সেগুলো পুনরায় পরিবর্তন করা হয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন মকরণ

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

৪৪তম বিসিএসে সাময়িকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় জানানো হয়েছে, গুগল ফরমে যাঁরা ইতিমধ্যে তথ্য দিয়েছেন, তাঁদের দাখিলকৃত তথ্য এই লিংকে দেখা যাবে। সংশ্লিষ্ট বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় ফরমটি খোলা রয়েছে। যাঁরা এখনো তথ্য দেননি, বিশেষ করে ৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার ও অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা বর্তমানে কর্মরতরা, তাঁদের দ্রুত ফরমটি পূরণ করার জন্য পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিধিমালা চূড়ান্ত হলে দাখিলকৃত তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা আগের বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ক্যাডার পদে কর্মরত তাঁদের তথ্য চেয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৪তম বিসিএস ক্যাডার পদে সাময়িকভাবে মনোনীত ১ হাজার ৬৯০ জন প্রার্থী প্রত্যেককে এবং নন-ক্যাডার পদের মনোনয়নের জন্য অপেক্ষমাণ ৮ হাজার ২৭২ জন প্রার্থীর মধ্যে যাঁরা বর্তমানে ক্যাডার সার্ভিসে কর্মরত আছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা এখনো গুগল ফর্ম পূরণ করেননি, তাঁদের উল্লিখিত গুগল ফর্ম আবশ্যিকভাবে পূরণ করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংশোধিত বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়া মাত্রই দাখিলকৃত তথ্যাদির ভিত্তিতে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২ ঘণ্টা আগে

উল্লেখ্য, ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয় গত ৩০ জুন। প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে পিএসসি।

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলাম অনুসারে সন্তানের আধুনিক নাম
  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে