বগুড়ার বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ২৫ জন বিদেশি নাগরিক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে শুক্রবার সকালে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

ইতালি, নেপাল, মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে আসা এই ২৫ জন নাগরিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারা পঞ্চম বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে বগুড়ায় এসেছিলেন।

আলোচনা সভায় ইতালির নাগরিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আলবার্তো স্টারোস্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় অনেক বড়। ভাষার জন্য তাদের যে ত্যাগ, তা এখন সারা পৃথিবীর মানুষ যথাযথভাবে উদযাপন করছে। এবারের উদযাপনটা আমার কাছে ভিন্ন। কারণ বাংলাদেশে বসেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি।’

মালয়েশিয়ার নাগরিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জুনিয়া আনিলিক বলেন, ‘আমাদের দেশেও প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করে থাকি। বাংলাদেশের বগুড়ায় এসে এই আয়োজন দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। এ দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। আশা করি তারা দেশের ভাষা আরও প্রসিদ্ধ করে করবে।’

বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রকৌশলী সাহাবুদ্দীন সৈকত বলেন, ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আমাদের প্রতিষ্ঠানে নানান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে ২৫ জন বিদেশি নাগরিক শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভাষার মাসে এটা নিঃসন্দেহে অনেক গর্বের বিষয়।’

সভা শেষে শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। পরে ২৫ জন বিদেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানপ্রধান চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অলোক পাল এবং তাসনিম ত্রয়ী।

অপরদিকে জেলা প্রশাসন ও জাসাস শহীদ খোকন পার্কে সাত দিনব্যাপী বই মেলার আয়োজন করেছে। এছাড়া সরকারি বেসরকারি রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান ২১ ফেব্রয়ারি উদযাপন করে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ