শিরোনামহীনের ‘বন্ধ জানালা’, ‘হাসিমুখ’ কিংবা ‘ইচ্ছে ঘুড়ি’ গান শুনতে শুনতে একজন শ্রোতা বিষাদের সাগরে ভেসে যেতে পারেন! গানগুলো কখনো শ্রোতার ধমনিতে রক্ত সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়, কখনো গহীন নিশীথিনীর মতো গম্ভীর করে তোলে। এমন আরো বেশ কটি গান রয়েছে দেশের জনপ্রিয় এই দলটির।  

নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে যাত্রা শুরু করে শ্রোতাদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলে শিরোনামহীন। এখনো স্টেজে পারফর্ম করছে। তবে প্রায় তিন দশকের জার্নিতে নানারকম ঘাতপ্রতিঘাতের মুখোমুখি হয়েছে দলটি। মাঝে তেমন সাড়া জাগানো গানও উপহার দিতে পারেনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে দলটির নতুন গান ‘প্রিয়তমা’

“প্রিয়তমা, চোখে চোখ রেখে/কথা হোক নিরবে/ কিছু কথা এভাবেই নির্বাক/ একান্তে নিবিড়ে/ ঝাঁঝালো বাতাসে বেদনায় নীল ঠোঁট/ অজস্র বেলীফুল হাতে অভিমান/ ম্রিয়মাণ বিকেলে/ পৃথিবীর মিথ্যে স্বপ্নের আড়ালে/ অযথাই কি নিভে যায় আলো/ শেষ বিকেলে?”— এমন কথার গানটি রচনা করেছেন জিয়াউর রহমান। সুর করেছেন কাজী আহমেদ শাফিন।

আরো পড়ুন:

অ্যাকাপেলায় একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’

হৃদয় খানের সংসার ভাঙার গুঞ্জন

দলটির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তির পর ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। আপ্লুত হয়েছেন অনেকে। নাঈম নামে একজন লেখেন, “শুরুটাই মনে ছুয়ে দিল। বাকিটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।” সাদ্দাম সিকদার লেখেন, “গান আর অ্যালকোহলে একটা দারুণ মিল রয়েছে, দুটোই যত পুরোনো হয় ততই নেশা বারে।” মিউজিক ভিডিও ও গানের সুখ্যাতি করে নাসিফ হাসান লেখেন, “সত্যি কথা বলতে, যেরকম লোকেশন ও গান কম্পোজিশনে একেবারে অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।”

গালিব লেখেন, “অনবদ্য সৃষ্টি হবে এটা। প্রসঙ্গত, সব গানই কবিতা, সব কবিতাই গান না, শিরোনামহীন মানেই সব কবিতায় গান, সব গানই কবিতা। ধন্যবাদ শিরোনামহীন!” রাতুল লেখেন, “প্রথম শুনলাম! এই অবেলায়-এর পর এটা বেস্ট মনে হচ্ছে! অসাধারণ! চোখের জল বের করে আনার মতো একটা গান! লাভ ইউ শিরোনামহীন-ব্রাদারস।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে গানটির কমেন্ট বক্সে।

‘প্রিয়তমা’ গানটি মুক্তির পর কেটে গেছে পাঁচ দিন। এরই মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে গানটির ভিডিও। এক বিবৃতিতে শিরোনামহীন জানিয়েছে, “প্রিয়তমা’ ৫ দিনে ৫ লাখ। সারা বিশ্বের ইউটিউব মিউজিক ট্রেন্ডিংয়ে চলে এসেছে টপ থার্টিনের ভিতর। শেয়ার করে বাংলা গান ছড়িয়ে দিন সারা বিশ্বের দুয়ারে। সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন