বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদের স্মরণ করল বন্দর উপজেলা প্রশাসন
Published: 21st, February 2025 GMT
বিনম্র শ্রদ্ধা মধ্য দিয়ে যথা যোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে বন্দর উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
একুশে'র প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
বন্দর উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রহিমা আক্তার ইতি এবঙ বন্দর থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ তরিকুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দরা ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্বে প্রথম পুষ্প অর্পন করে।
পরে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী নাছিরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বীরমুক্তিযোদ্ধাগন, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির, বন্দর প্রেসক্লাব, বন্দর ফায়ার সার্ভিস, বন্দর থানা আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’