বিনম্র শ্রদ্ধা মধ্য দিয়ে যথা যোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদের গভীর  শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে বন্দর উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

একুশে'র প্রথম প্রহর  রাত ১২টা ১ মিনিটে বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বন্দর উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রহিমা আক্তার ইতি এবঙ বন্দর  থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ তরিকুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দরা ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্বে প্রথম পুষ্প অর্পন করে।

পরে বন্দর উপজেলা  মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী নাছিরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বীরমুক্তিযোদ্ধাগন, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির, বন্দর প্রেসক্লাব, বন্দর ফায়ার সার্ভিস, বন্দর থানা আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ