ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল
Published: 22nd, February 2025 GMT
নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে টপঅর্ডার ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলতে হবে। অথচ তাঁকে নিয়ে তিন টপঅর্ডারের কেউই ভালো করতে পারেননি। উল্টো ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। ১৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে শোভন স্কোরে নিয়ে গেছেন তারা। ক্যারিয়ারে মেডেন সেঞ্চুরিও করেছেন হৃদয়। এই লড়াকু ব্যাটিং করে দু’জন প্রশংসিত হয়েছেন দল হেরে গেলেও। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের কাছ থেকে বাহাবা পেয়েছেন হৃদয়-জাকের। গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচেও এ দুই ব্যাটারের ওপর আস্থা রাখতে চান তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ ফেব্রুয়ারির ম্যাচেও হয়তো একাদশে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা নিয়মিত রান করছেন না অনেক দিন ধরে। সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম বা নাজমুল হোসেন শান্তরা দ্রুত আউট হলে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু হয় মিডল অর্ডারে। ভারতের বিপক্ষে মিডল অর্ডারের শুরুটাও ভালো ছিল না মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমের আউটে। ৮.
বোলিং লাইনআপে নাহিদ রানাকে না দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভারতের কাছেও আতঙ্কের নাম তিনি। অথচ পেস বিভাগে জায়গা হয়নি রানার। ব্রেক থ্রু পাওয়ার জন্য হলেও রানাকে খেলানো যেত বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচক বাশার, ‘তৃতীয় সিমার খেলালে আমি নাহিদ রানাকে খেলাতাম বা একজন স্পিনার বেশি নিতাম। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মাঝের উইকেট না নিতে পারলে রান ডিফেন্ড করা কঠিন। অথবা অন্যরা তিনশ রান করে ফেলবে। এখনকার ব্যাটাররা শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান করে। তাই কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকাতে হলে মাঝের উইকেট নিতে হবে। আমাদের উইকেট টেকিং বোলার ছিল নাহিদ। এই বিবেচনায় অবশ্যই নাহিদ রানাকে নেওয়া উচিত ছিল।’ হালকাপাতলা চোট থাকায় ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়নি ৩৯ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর।
পরের ম্যাচে খেলার সম্ভাবনাও কম দেখেন সাবেক নির্বাচক বাশার, ‘মাহমুদউল্লাহর ইনজুরিটা অত বড় নয়। ও ফিট হলে কোথায় খেলবে চিন্তার বিষয়। হৃদয় এবং জাকের খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। হৃদয় ফিট থাকলে, পাঁচটা বোলার লাগবেই। আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু