‘গ্লেনজিউর’, প্রাচীন সভ্যতার মহিমা উদ্যাপনে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক আয়োজন
Published: 24th, February 2025 GMT
মানবসভ্যতার বিকাশে মিসরীয়, সুমেরীয়, গ্রিক, চীনা ও বাংলা সভ্যতার অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঁচ প্রাচীন সভ্যতা এবং এর গৌরবময় মহিমাকে নাচ-গান ও নাটক পরিবেশনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলল রাজধানীর অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সাতারকুল তাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক আয়োজনে। গত শনিবার স্কুল মিলনায়তনে এ আয়োজনে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুলের কর্মচারীরা অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিহাস-ঐতিহ্যের এ অনন্য উপস্থাপন এবং আগামীর উদ্ভাবনী ধারণার সঙ্গে পরিচয় করাতে এই সৃজনশীল আয়োজন শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করবে। আয়োজকেরা বলছেন, অনুষ্ঠানটি কেবল বিনোদন নয়, এর পাশাপাশি ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষা শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সংস্কৃতি, ইতিহাস ও সৃজনশীলতার সম্মিলিত এক অভিজ্ঞতা। এ ধারণা থেকেই গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সাতারকুল তাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক আয়োজন গ্লেনজিউর ২০২৫-এর আয়োজন করে।
আয়োজনের শুরুতেই একটি অনবদ্য অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করা হয়। আয়োজনটি শেষ করা হয় রোবটিকস পারফরম্যান্সের মাধ্যমে। উপস্থাপকদের পোশাকের অভিনবত্ব এ আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল। উপস্থাপকেরা শিক্ষার্থীদের বানানো জেনিথ, মেছ ডগ ও গ্রুভবট রোবট সেজে মঞ্চের স্পেসশিপে হাজির হন। বিভিন্ন পরিবেশনায় স্কুলটির গ্রেড ৬-৯–এর শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ রমেশ মুডগাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা, ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে শিশুরা অতীতের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছে না। আশা করছি, এই আয়োজনের স্মৃতি তাদের আগামী দিনের জীবন গঠন ও পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।