Samakal:
2025-11-03@19:59:12 GMT

পোলট্রি ফ্রোজেন ফুডের সম্ভাবনা

Published: 24th, February 2025 GMT

পোলট্রি ফ্রোজেন ফুডের সম্ভাবনা

দেশের বাজারে ‘লাইভ ব্রয়লার’ জবাই করে মাংস খাওয়ার যে প্রচলন, তা উন্নত দেশে বিরল। আশার কথা, উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ব্রয়লার মুরগির হিমায়িত বিভিন্ন কাটআপ যেমন ব্রেস্ট, লেগ, ড্রামস্টিক, উইংস এবং পুরো ড্রেসড মুরগি সুপারশপ ও বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এখন পাওয়া যাচ্ছে। এসব পণ্যের পাশাপাশি পোলট্রি কারকাস আধুনিক প্রসেসিং প্রক্রিয়ায় ‘রেডি-টু-কুক’ এবং ‘রেডি-টু-ইট’ বিভিন্ন ফ্রোজেন প্রডাক্টস উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে সসেজ, নাগেট, মিটবল ও বার্গার-প্যাটিস জনপ্রিয়। 

কর্মব্যস্ত মানুষ তাদের খাবার তৈরির ঝামেলা কমাতে দিন দিন ফ্রোজেন আইটেমের দিকে ঝুঁকছে। তরুণ ও মধ্যবয়সীদের কাছে ফাস্টফুডের চাহিদা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে বিধায় অদূর ভবিষ্যতে দেশে ব্রয়লার মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের ভালো সম্ভাবনা আছে। মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর কাজ। মুরগির প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টে ঠান্ডা পানি (প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দিয়ে পোলট্রি কারকাস ঠান্ডা করা হয়। ফলে কারকাসের জীবাণুর পরিমাণ হ্রাস পায়। আবার কম তাপমাত্রায় কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা এইজিং সময় পার করার পর মুরগির হাড় থেকে মাংস আলাদা বা বিভিন্ন অংশের কাটআপ করা হয়। ফলে রিগর মর্টিসের (প্রাণীর মৃত্যুর কারণে পেশি সংকোচন) সময় চলে যায় এবং এই মাংস রান্না করলে নরম ও রসালো হয়। 

বাংলাদেশ পোলট্রি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও নিরাপদ মাংস সরবরাহ চেইনে অনেক পিছিয়ে। এটি করতে হলে দরকার পোলট্রি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে মান নিয়ন্ত্রণ ও ইন্সপেকশন পদ্ধতির যুগোপযোগী গাইডলাইন। নিরাপদ পোলট্রি উৎপাদনের জন্য খামারি, ডিলার এবং এজেন্টদের ট্রেনিং ও মোটিভেশনাল অ্যাপ্রোচ জরুরি। পোলট্রি প্রসেসিং শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে শিক্ষা, নতুন নতুন পণ্য তৈরির জন্য গবেষণা ও ইন্ডাস্ট্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন এখন সময়ের দাবি। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ যেমন– ফসফেট, নাইট্রেট, নাইট্রাইট, কিউর অ্যাডজাঙ্কট, নন-মিট প্রোটিন, পলিস্যাকারাইড, এনজাইম-সিজনিংস ইত্যাদি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় বিধায় ডলারের উচ্চমূল্য, ব্যবসায়ীদের এলসি সমস্যা এবং জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে ছোট ছোট কারখানা শুল্কমুক্ত কোটায় আমদানি করতে পারছে না। ফলে প্রায় সব উপকরণের দাম বেড়ে যাচ্ছে এবং সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে প্যাকেজিং বা মোড়ক পণ্য এবং বিভিন্ন উপকরণ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে এ শিল্পের রপ্তানি দ্বিগুণ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের বিএসটিআই, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে কারখানা পরিদর্শনে এসে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি পেলে উদ্যোক্তাদের জরিমানা করেন। এ ক্ষেত্রে তারা ত্রুটি চিহ্নিত করার পর তা সংশোধনে উদ্যোক্তাদের যদি সময় বেঁধে দেন এবং সেই সময় পর আবার কারখানা পরিদর্শন করে যাচাই করেন, তাহলে এসব কারখানা এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।

পোশাক রপ্তানি খাতের মতো এ শিল্পকে প্রায়োরিটি দিতে হবে। অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র কারখানাগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য যা করা যেতে পারে– সরাসরি প্রণোদনা না দিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা, রপ্তানি বাণিজ্য ধরার জন্য সহযোগিতা করা, রপ্তানি আয় বাড়াতে নানামুখী মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া, নির্দিষ্ট কিছু ফুড আইটেম যেমন– সসেজ, নাগেট বা মিটবলের মধ্যে না থেকে প্রডাক্ট ডাইভার্সিফায়েড করা, কোন দেশে কোন ধরনের খাদ্যপণ্যের চাহিদা কী তা জানা, দেশের নিজস্ব দূতাবাস ও মিশনগুলোকে এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে। 
আমরা এ শিল্পে প্রতিনিয়ত শিখছি। সঠিক প্রযুক্তি নির্বাচন, প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা, উন্নত ব্যবস্থাপনা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি ও পরিকল্পনা প্রণনয়ই কেবল এ শিল্পের সহায়ক হতে পারে। 

ড.

মো. আবুল কালাম আজাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষি বিবর্তনের গল্প বলে যে জাদুঘর

বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির মূলে রয়েছে কৃষি। এই কৃষির বিবর্তনের গল্প, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষের জীবন, প্রযুক্তির বিকাশ এবং গ্রামীণ সমাজের ঐতিহ্য যেন এক অমূল্য উত্তরাধিকার।

সময়ের প্রবাহে অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে, ভুলে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। সেই হারানো ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও তুলে ধরার প্রয়াসেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম কৃষি জাদুঘর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি জাদুঘর।

আরো পড়ুন:

জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেলেন বাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী

গোপনে বাকৃবি ছাত্রীদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে সাবেক ছাত্রকে দিতেন আরেক ছাত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ঠিক সামনেই সবুজ দেবদারু গাছে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে এই কৃষি জাদুঘর। প্রকৃতির কোলে যেন কৃষির ইতিহাস কথা বলে এখানে।

২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মু. মুস্তাফিজুর রহমানের হাত ধরে জাদুঘরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, যার মূল স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হোসেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এর উদ্বোধন করেন।

নানা প্রতিবন্ধকতা ও জনবল সংকটের কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও, ২০০৭ সালের ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞাঁ এটি পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এটি দেশের কৃষি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির এক জীবন্ত সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত।

৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত এই অষ্টভুজ আকৃতির ভবনটি স্থাপত্যগত দিক থেকেও দারুণ দৃষ্টিনন্দন। প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে রঙিন মাছের অ্যাকুয়ারিয়াম, পাশে প্রাচীন সাতটি খনার বচন। প্রবেশমুখের ঠিক পরেই দুটি অফিস কক্ষ, আর একটু ভেতরে এগোলেই দেখা যায় একটি ছাদহীন বৃত্তাকার বাগান, যা প্রাকৃতিক আলোর ছোঁয়ায় উজ্জ্বল। সেই বাগানের চারপাশেই রয়েছে সংরক্ষণশালার বিভিন্ন কক্ষ। প্রতিটি কক্ষই যেন কৃষির একেকটি অধ্যায়।

জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো বীজ সংগ্রহশালা। এখানে রয়েছে ধান, গম, ভুট্টা, তিসি, চিনাবাদাম, কাউনধান, ফ্রেঞ্চ বিন, ফাবা বিনসহ নানা ফল ও সবজির বীজ। দেখা মেলে বিরল প্রজাতির তৈকর ফলের বীজ, যা একসময় আচার ও জেলি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। রয়েছে বহুল পরিচিত ভ্যান্না বীজ, যার তৈল দিয়ে কসমেটিক ও ঔষধি পণ্য তৈরি হয়।

মাটির নানা প্রকার নমুনা, প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সার, এমনকি পাহাড়ি চাষাবাদের মডেলও স্থান পেয়েছে এখানে।

শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও দর্শনার্থীদের শিক্ষার জন্য প্রদর্শিত হয়েছে বিভিন্ন ফসল রোগের চিত্র, আক্রান্ত বীজ, ও ব্যাকটেরিয়ার নমুনা। এ অংশের এক বিশেষ আকর্ষণ আড়াই কেজি ওজনের এক বিশাল মিষ্টি আলু, যা দর্শনার্থীদের বিশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

জাদুঘরের আরেক অংশ যেন এক ক্ষুদ্র প্রাণিবিজ্ঞান জাদুঘর। এখানে প্রদর্শিত আছে বুনো মহিষ, হরিণের শিং, গরু, অজগর ও গোখরা সাপের কংকাল। রয়েছে সংরক্ষিত কালো মেটো ইঁদুর, ধারাই সাপ, এবং কচ্ছপের খোল ও কঙ্কাল।

উপরে তাকালে দেখা যায় এক বিশাল প্রিজার্ভড শকুন, সে যেন আকাশে ডানা মেলে উড়ছে। রয়েছে প্লাটিপাসের কংকালও, যা এক বিরল প্রাণীর বাস্তব নিদর্শন। প্রতিটি নমুনাই যেন দর্শনার্থীকে স্মরণ করিয়ে দেয়, কৃষি কেবল ফসল বা জমির নয়, এটি প্রকৃতি ও প্রাণের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

গ্রামীণ জীবনের বৈচিত্র্যও এখানে তুলে ধরা হয়েছে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে। এক কক্ষে সাজানো আছে ঢেকি, কুলা, পানের ডাবর, হুকা, হারিকেন, কুপি বাতি, গরুর গাড়ির মডেল, এমনকি মাছ ধরার পুরোনো যন্ত্রও। রয়েছে তবলা, বেহালা, আদুরী, ক্রাম ও নাতকসহ বিভিন্ন দেশীয় বাদ্যযন্ত্র।

এক পাশে দেখা যায় ‘গিলা’, যা একসময় বর-কনের গোসল অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। এখনকার তরুণ প্রজন্ম হয়তো নামটিও জানে না, অথচ এটি ছিল গ্রামীণ সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ।

আরো রয়েছে কৃষকের বসতবাড়ির পূর্ণাঙ্গ মডেল, যা দেখতে যেন একেবারে বাস্তব কৃষকের ঘর। এখানে দেখা যায় কৃষকের হালচাষের দৃশ্য, রান্নাঘর, ধান রাখার গোলা, গরুর খোঁয়াড় এবং গৃহিণীর সাজানো রান্নার জায়গা। যেন একবারে গ্রামের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে দেয়াল আর মডেলের মধ্যে।

প্রযুক্তির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য জাদুঘরে স্থান পেয়েছে পুরনো মাইক্রো কম্পিউটার, ডট প্রিন্টার, পাওয়ার টিলার, ধান মাড়াইয়ের আধুনিক যন্ত্র, ঘাণি, ডিঙি নৌকা, কাঁঠের তৈরি গরুর গাড়ি, তালগাছের কুন্দা ও উপজাতিদের পোশাক। এক পাশে ঝুলছে হরিণের চামড়া, অন্য পাশে সাজানো উপজাতীয় কৃষি উপকরণ, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এই উপকরণগুলো কেবল প্রযুক্তির বিবর্তনের ইতিহাস নয়, বরং কৃষির সঙ্গে মানুষের সংস্কৃতি ও জীবনধারার মেলবন্ধনের প্রতীক।

জাদুঘরের আরেক বিশেষ প্রদর্শনী হলো প্রাচীন থেকে আধুনিক সময়ের মুদ্রার সংগ্রহ। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রা এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। এগুলো দেখে কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বিকাশ ও সামাজিক পরিবর্তনের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

জাদুঘরের প্রতিটি কোণ যেন বলে, কৃষিই বাংলাদেশের প্রাণ। এখানকার প্রতিটি উপকরণ, প্রতিটি মডেল, প্রতিটি নমুনা কৃষির বিকাশ ও মানুষের সংগ্রামের গল্প বহন করে। দর্শনার্থীরা এখানে এসে কৃষির অতীত ঐতিহ্য থেকে বর্তমান প্রযুক্তির রূপান্তর পর্যন্ত এক নজরে দেখতে পান।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “এটি দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে উপকরণসমৃদ্ধ কৃষি জাদুঘর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এটিকে দোতলা ভবনে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে, যেখানে কৃষি ভিত্তিক ১৪টি জেলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি উপকরণ সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।”

তিনি আরো বলেন, “দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ভবিষ্যতে টিকিট ব্যবস্থা চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং জাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণেও ভূমিকা রাখবে।”

এই কৃষি জাদুঘর শুধু কৃষি উপকরণের প্রদর্শনী নয়, বরং এটি বাংলাদেশের কৃষি সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও মানুষের সম্পর্কের এক সজীব দলিল। শহরের কোলাহল আর কংক্রিটের ভিড় থেকে বেরিয়ে কেউ যদি এখানে আসে, তবে মুহূর্তেই যেন হারিয়ে যায় মাটির গন্ধে, কৃষকের ঘামে, বাংলার গ্রামীণ জীবনের সহজ সরল সৌন্দর্যে।

জাদুঘরটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে এবং প্রতি শনিবার বন্ধ থাকে। সময় সুযোগে একবার ঘুরে গেলে দেখা মিলবে বাংলাদেশের কৃষির হাজার বছরের গল্প, যা মাটি, ঘাম, বীজ আর ঐতিহ্যের বন্ধনে গাঁথা এক অনবদ্য ইতিহাস।

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কৃষি বিবর্তনের গল্প বলে যে জাদুঘর
  • আন্দোলনে রাজধানীতে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ যানজট, ডিএমপির দুঃখপ্রকাশ
  • বরফ গলে মেরু এলাকায় নতুন বাস্তুতন্ত্রের খোঁজ
  • হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ