২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেইমার কি ব্রাজিলেই থাকবেন
Published: 25th, February 2025 GMT
এক দশকের বেশি সময় পর বিভিন্ন ক্লাব ঘুরে সান্তোসে ফিরে এসেছেন নেইমার। প্রাথমিকভাবে নেইমারের সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি হলেও সান্তোস প্রেসিডেন্ট টিসেইরার আশা এই চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। নেইমারের চুক্তি বাড়ার ব্যাপারে সম্প্রতি বেশ আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আল হিলাল থেকে সান্তোসে এসে এখন নিয়মিতই মাঠে নামছেন নেইমার। ফিরে পেতে শুরু করেছেন নিজের সেরা ছন্দও। এর মধ্যে ৫০০ দিন পর পুরো ৯০ মিনিট খেলার পাশাপাশি করেছেন চোখধাঁধানো গোলও। এসব ঘটনা হয়তো নিজের শৈশবের ক্লাবটিতে নেইমারকে আরও বেশি সময় থাকতে অনুপ্রাণিত করবে। এমনটা প্রত্যাশা টিসেইরারও।
ইএসপিএনের সঙ্গে আলাপে সান্তোস সভাপতি বলেছেন, ‘নেইমার আসার পর আমাদের এখন ৭৫ হাজার সদস্য। আজ আমরা এর প্রযুক্তিগত দিকগুলো এবং অর্থনৈতিকভাবে দিকগুলো পরিমাপ করতে পারি। আমরা যা অনুমান করেছিলাম, তার তুলনায় অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলো বৃদ্ধি পাবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তবে এই জুটি চলতে থাকবে এবং আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন৫০০ দিন পর পুরো ৯০ মিনিট খেলে নেইমারের অবিশ্বাস্য অলিম্পিক গোল২০ ঘণ্টা আগেআপাতত ছয় মাস থাকা নিশ্চিত হলেও এরপর নেইমারের ভবিষ্যৎ কি, তা এখনো নিশ্চিত নয়। গুঞ্জন আছে, গ্রীষ্মের দলবদলে নেইমার হয়তো আবার ইউরোপেই ফিরে যাবেন। বার্সেলোনার মতো ক্লাবকে ঘিরেও রয়েছে জোর গুঞ্জনও। এ তালিকায় সামনের দিনে যুক্ত হতে পারে আরও নতুন নাম।
সান্তোসের জার্সি হাতে নেইমার। পাশে সান্তোস সভাপতি মার্সেলো টিসেইরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাতারবাড়ি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার ট্যারিফ অনুমোদন
বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮.৪৪৭৫ টাকা। এ কেন্দ্র থেকে ৩০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে মোট ব্যয় হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
মাতারবাড়ি ৬০০¬X২ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)। বাবিউবোর বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য সিপিজিসিবিএল ও বাবিউবোর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদে স্বাক্ষরিতব্য পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ট্যারিফ স্ট্রাকচার ও লেভেলাইজড ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকায় কেনার চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হিসাবে ৩০ বছর মেয়াদে সিপিজিসিবিএল-কে আনুমানিক ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমান ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে চূড়ান্ত ব্যয় হিসাব করে পুনরায় ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।
সিপিজিসিবিএল সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে যে পরিমাণ লাভ হবে, তা সরকারের লাভ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রথম সংশোধিত ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয় ২০২১ সালের ২৩ নভম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশন।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক