সাবুদিকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে যাই: পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
Published: 26th, February 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চ্যাটার্জি। উত্তম কুমারের সঙ্গে এ অভিনেত্রীর পর্দার রোমান্স এখনো মনে দোলা দেয়। তাদের রিল লাইফের প্রেম ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো, সাবিত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কয়েক দিন আগে ৮৮ বছর বয়সে পা দিলেন সাবিত্রী। এ উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেন ৮৪ বছরের পরাণ। এ আলাপচারিতার স্মৃতির ঢাকনা খুলে ‘গোপন’ খবর নিজেই জানান।
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভাঙা গড়া’ সিনেমায় সাবুদিকে প্রথম দেখেছিলাম। বড়পর্দায় উনাকে দেখে সেদিনই প্রেমে পড়ে যাই। এখনকার সময় হলে হয়তো ‘প্রপোজ’ করে ফেলতাম। একসঙ্গে পথ চলতে চাইতাম। কিন্তু সাহস হয়নি মুখ ফুটে বলার।”
আরো পড়ুন:
নব্বইয়ের শেষে যারা জন্মেছে, তারা ‘খিচুড়ি’ ভাষার মধ্যে বড় হয়েছে: পরমব্রত
‘সম্পর্কটা বিয়ের দিকে যাবে না কি ব্রেক-আপ হবে বলা মুশকিল’
একটি ঘটনা বর্ণনা করে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দুজন ‘সোনার হরিণ’ নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলাম। পর্দায় আমাদের দেখে সাবুদির বড়দি বলেছিলেন, ‘দুজনকে বড্ড ভালো মানিয়েছে।’ এই কথা শুটিং ফ্লোরে এসে আমাকে জানান সাবুদি। জবাবে সেদিন মজার ছলে বলেছিলাম, ‘এই জন্মে তো হলো না। এখন থেকেই ইঁট পেতে রাখলাম। পরের জন্মে কিন্তু অন্য কারো কাছে যেও না।’ আসলে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বড্ড মধুর। তাই অনায়াসে একে অপরকে অনেক কথা বলতে পারি।”
সাবিত্রীর প্রতি কুর্নিশ জানিয়ে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হলফ করে বলতে পারি, উনার মতো অভিনেত্রী দুটো নেই। সুযোগ পেলে নামজাদা অনেক অভিনেত্রীর থেকে এগিয়ে যেতে পারতেন সাবুদি। জন্মদিনে দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সারাজীবন অভিনয়ের জন্য নিজেকে সমর্পণ করেছেন। উনার ইচ্ছা শক্তিকে কুর্নিশ জানাই।”
১৯৫১ সালে উত্তম কুমার অভিনীত ‘সহযাত্রী’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাবিত্রী। ১৯৫২ সালে ‘পাশের বাড়ি’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। মুক্তির পর সিনেমাটি ব্যবসায়ীকভাবে সফল হয়।
সাবিত্রী চ্যাটার্জি তার ৬০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে দর্শকদের ভালোবাসা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি কাজের জন্য অসংখ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে— পদ্মশ্রী, বঙ্গবিভূষণ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা
রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।
এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।
রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।
এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।
সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।
রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫