নিজের ‘চিকনি চামেলি’ গান নিয়ে বিব্রত শ্রেয়া ঘোষাল
Published: 27th, February 2025 GMT
করণ মালহোত্রা নির্মিত সিনেমা ‘অগ্নিপথ’। সঞ্জয় দত্ত, হৃতিক রোশান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত সিনেমাটি ২০১২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এ সিনেমায় ব্যবহার করা হয় ‘চিকনি চামেলি’ গানটি। এটি মূলত, আইটেম গান।
‘চিকনি চামেলি’ গানে আইটেম কন্যা হিসেবে পারফর্ম করেন ক্যাটরিনা কাইফ। গানটিতে কণ্ঠ দেন শ্রেয়া ঘোষাল। ক্যাটরিনার নাচের হিল্লোল আর শ্রেয়ার কণ্ঠে পাগল করা সুর এখনো দর্শক হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিন্তু প্রায় ১৩ বছর পর শ্রেয়া জানালেন, এ গান নিয়ে বিব্রত তিনি। ইউটিউবার লিলি সিংকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন শ্রোতাপ্রিয় এই শিল্পী।
শ্রেয়া ঘোষাল বলেন, “আমার হাতে গোনা কয়েকটি গান আছে, যেগুলো চিকনি চামেলির মতো রাঞ্চি হতে পারে। যৌন আবেদন এবং সেক্সি হওয়া বা নিজেকে অবজেক্টিফাইড করার মধ্যে খুব সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি এখন এই বিষয়ে কিছুটা সচেতন হয়েছি। কারণ গানের কথা না বুঝেই আমি অল্প বয়েসি মেয়েদের এটি গাইতে দেখেছি।”
বাচ্চারা যখন গানটি কণ্ঠে তুলেন কিংবা গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন, তখন বিব্রত বোধ করেন শ্রেয়া। এ তথ্য উল্লেখ করে এই সংগীতশিল্পী বলেন, “এটি একটি মজার গান, তাই তারা এটিতে নাচছে। তারা আমার কাছে এসে বলে, ‘আমি আপনার গান ভালোবাসি। আমি কি আপনার সামনে এই গানটি গাইতে পারি?’ এসব কথা শুনে আমি খুব বিব্রত বোধ করি। ছোট্ট একটা মেয়ে, যার বয়স ৫-৬ বছর, সে এই গান গাইছে এবং সেটা ভালো শোনাচ্ছে না। আমি এটা চাই না, তাই এ বিষয়ে সচেতন হয়েছি।”
শ্রেয়া ঘোষাল মনে করেন, নিজের আবেদনময়ী শরীরি সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলা ভুল নয়। তার ভাষায়, “আমি কতটা আবেদনময়ী তা নিয়ে আনন্দের সঙ্গে কথা বলা ভুল নয়। কিন্তু এটি (গান) এভাবে লেখবেন না। সম্ভবত, যদি কোনো নারী এটি লিখতেন, তবে আরো অমায়িকভাবে লিখতেন। এটা শুধু দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। আমাদের সমাজে, বিশেষ করে ভারতে, কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি জানেন আমাদের চারপাশে কী ঘটছে।”
মানুষের মনে ভীষণ প্রভাব ফেলতে পারে গান ও চলচ্চিত্র। তা জানিয়ে এই গায়িকা বলেন, “চলচ্চিত্র এবং গান আমাদের সংস্কৃতির বড় একটি অংশ। বহু মানুষের জীবন এতে প্রভাবিত হয়। কখনো কখনো কিছু গান ইতিহাসেও ঢুকে যায়। আমি এই ধরনের ইতিহাসের অংশ হতে চাই না।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট