আ.লীগের আমলে মাদকের প্রসার ঘটে: হাসান আহমেদ
Published: 27th, February 2025 GMT
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপিদের ছত্রছায়ায় মাদকের প্রচার এবং প্রসার ঘটে বলে মন্তব্য করেছেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান হামিদ চৌধুরী কিরণ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘মাদককে না বলি, যুক্তি দিয়ে মুক্তি আনি’ প্রতিপাদ্যে শেকৃবি ডিবেটিং সোসাইটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ছাত্রছায়া ছাড়া মাদকের প্রচার এবং প্রসার সম্ভব নয়। পতির আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি দলের নীতিনির্ধারকদের ছত্রছায়ায় মাদকের প্রসার ঘটে। মাদক নিয়ন্ত্রণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম শওকত ইসলাম, শেকৃবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. খুরশিদ আলম চঞ্চল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “মাদক পারমাণবিক বোমার থেকে বেশি ভয়াবহ। জাপানে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ হলেও এর প্রভাব বিশ্বের অন্য দেশে কিন্তু পড়েনি। তবে আফ্রিকা মহাদেশের উৎপাদিত মাদক কিন্তু সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যেখানে মাদকের প্রভাব নেই।”
তিনি বলেন,“মাদক মূলত জীবন থেকে জীবন কেড়ে নেয়। নানা ধরনের রোগ সৃষ্টিসহ মাদক স্বাভাবিক জীবন ধ্বংস করে। মাদক প্রতিরোধে আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে এ মাদকবিরোধী আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা উচিত।”
‘মাদক নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছাই যথেষ্ঠ’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার সঞ্চালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এতে সরকারি দল হিসেবে অংশ নেয় শেকৃবি ডিবেটিং সোসাইটি এবং বিরোধীদল হিসেবে অংশ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বিতার্কিক দল।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় জবি বিতার্কিক দল এবং শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন জবি শিক্ষার্থী ওয়াসিউল হাসান।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫