প্রায় ১৫ বছর আগে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম। কন্নড় ভাষার সিনেমার মাধ্যমে এই অঙ্গনে পা রাখেন। এর দুই বছর পর বলিউড যাত্রা শুরু করেন। তারপর কেটে গেছে এক যুগের বেশি সময়। শরীরি সৌন্দর্য ও দাপুটে অভিনয়ের জন্য মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন।

ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে কাজ নিয়ে কতটা তৃপ্ত ইয়ামি গৌতম? ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সন্তুষ্টি— এমন একটি বিষয়, যা আপনি কখনো অনুভব করবেন না এটি অর্জন করেছেন। আপনি যদি একটি লক্ষ্য স্থির করেন এবং তা অর্জন করেন, তখন মনে হবে, ‘ওহ! আমি এটা চেয়েছিলাম।’ ১০ বছর আগে হয়তো লক্ষ্যটি অন্য কিছু ছিল। আমি এখন এখানে আছি; এখন লক্ষ্য ভিন্ন। আমি হয়তো আমার লক্ষ্যটাকে ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারব না। কারণ আমার মনে এমন কিছু ঠিক করা নেই।”

দর্শক যখন ইয়ামি গৌতম অভিনীত সিনেমার প্রশংসা করেন, তখন কেমন অনুভব করেন? এ প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “মানুষ আমার চলচ্চিত্রের প্রশংসা করলে ভালো লাগে। আমার মনে কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই। এটি এমন একটি জার্নি, যা একা ভ্রমণ করতে হয়; তা আপনি ইন্ডাস্ট্রির হোন বা বাইরের। চূড়ান্ত রায় দর্শকদের উপর নির্ভর করে।”

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশি তরুণ গায়কের প্রশংসায় অরিজিৎ

ইতিহাস গড়ল ভিকি-রাশমিকার সিনেমা

৩৬ বছরের ইয়ামি গৌতম সংসারীও হয়েছেন। ‘উড়ি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ইয়ামির আলোচিত সিনেমা। এটি পরিচালনা করেন আদিত্য ধর। এ সিনেমার সেটে ইয়ামি ও আদিত্য ধরের প্রেমের সম্পর্কের শুরু। তবে বিয়ের আগে একসঙ্গে জনসম্মুখে হাজির হননি তারা। ২০২১ সালের ৪ জুন গোপনে বিয়ে করেন এই দম্পতি। গত বছরের ১০ মে পুত্রসন্তানের মা হন এই অভিনেত্রী।

এ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষার ৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইয়ামি গৌতম। এর মধ্যে বেশ কিছু আলোচিত সিনেমা রয়েছে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘বাদলাপুর’, ‘কাবিল’, ‘সরকার থি’, ‘উড়ি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ প্রভৃতি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ