ম্রো ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আহা মাতৃভাষা’
Published: 28th, February 2025 GMT
চলচ্চিত্রটির নাম ‘আহা মাতৃভাষা’। নামটি বাংলায় হলেও এটি ম্রো ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র। ম্রো জীবন ও সমাজ নিয়ে প্রামাণ্য এই চলচ্চিত্র আবর্তিত হয়েছে ম্রো ভাষার লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রোকে নিয়ে। তাঁর মধ্যে দিয়েই দেখানো হয়েছে ম্রো সমাজকে।
গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝিতে বাইরের জগতে ম্রো সম্প্রদায়ের মানুষের পদচারণের শুরু। একদিকে নিজেদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ধরে রাখার সংগ্রাম, অন্যদিকে এগিয়ে যাওয়ার তাড়না। দ্বিমুখী এই সংগ্রামই চলচ্চিত্রের উপজীব্য। আর ম্রো সমাজের প্রতিনিধি হয়ে ওঠা ইয়াংঙান ম্রো রয়েছেন কেন্দ্রীয় ভূমিকায়। নিজের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করতে তিনি শুরু করেছিলেন লেখালেখি। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর হয়েও ছাড়েননি ম্রোদের প্রথাগত জীবনযাপন।
ম্রো ভাষার লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রোকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্র।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’
এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।