গ্রাহকদের ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাতক্ষীরার প্রগতি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক প্রণনাথ দাস ও তার স্ত্রী সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইতি রানী বিশ্বাসসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৭ (দেবহাটা) এ আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তনিয়া মন্ডল তনি আসামিদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রামের তাপস চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রিংকু রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ২৯ তারিখে মামলাটি করেন। 

আরো পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

পিলখানা হত্যাকাণ্ড
১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার বিচার

রিংকু রানী বিশ্বাস জানান, তিনিসহ তার এলাকার শতাধিক গ্রাহকদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রাণনাথ দাস। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় শহরের কামালনগর এলাকার প্রগতি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালক প্রানাথ দাস। শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি। সেখানে তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন।

গ্রাহকদের আমানতের টাকা ও লভ্যাংশ ফেরত দিতে প্রাণনাথ দাস গড়িমশি শুরু করেন। পরে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। আমানতকারীদের কেউ কেউ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি। 

তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর শত শত গ্রাহক প্রগতি কার্যালয়ে এসে দেখেন কেউ নেই অফিসটিতে। তার (প্রানাথ দাস) বাড়িও ছিল তালা মারা। গ্রহকরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভও করেন। ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা এলাকায় পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। এরপর সেখানে কয়েক মাস কারাভোগের পর দেশে ফিরে সাতক্ষীরার সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। কিছুদিন কারাভোগের পর তিনি আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রাণনাথ ও স্ত্রীসহ তার সহযোগী ৫ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।  

বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রায় ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি: মাইগ্রেশন, বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ
  • হেলথ টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি, অপেক্ষমাণ থেকে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে