ভারতে ভয়াবহ তুষারধস, চাপা ৪১ জনের মধ্যে উদ্ধার ১৬
Published: 28th, February 2025 GMT
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলিতে ভয়াবহ তুষারধস হয়েছে। এতে বরফের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ হন দেশটির সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) অন্তত ৪১ শ্রমিক, যাদের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারত-তিব্বত সীমান্তের কাছে উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামে তুষারধসের পর উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ভারতীয় সেনা ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা।
বিআরও-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সিআর মীনা বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে। তবে বৈরী আহবাওয়ার কারণে বেগ পেতে হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিনা খরচে ইফতার পাবে দর্শকরা
যুবককে নির্যাতন, মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ
উত্তরাখণ্ডের খ্যাতনামা বদ্রিনাথ মন্দির থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মানা সীমান্ত গ্রাম। সেখানে সীমান্ত সড়ক সংস্থার একটি ক্যাম্প রয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তুষারধসের সময় শ্রমিকরা রাস্তা তৈরির কাজ করছিলেন।
ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, বদ্রিনাথের কাছে তুষারধসের সময় সেখান ৫৭ জন শ্রমিক ছিলেন।
সিআর মীনা বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে, তবে প্রবল তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের মহাপরিচালক দীপম শেঠ বলেছেন, “উদ্ধার অভিযানে নেমেছেন ৬০-৬৫ জন কর্মী। তবে প্রধান চ্যালেঞ্জ সেখানকার প্রতিকূল আবহাওয়া। প্রবল তুষারপাত ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে রাস্তা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমরা বরফ কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি।”
তুষারধসের পরপরই রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ও বিওআর এর বিশেষ দল উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
চামোলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি বলেন, প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে হেলিকপ্টার পাঠানো সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে উত্তরাখণ্ডসহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি অঞ্চলে ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২০ সেন্টিমিটার প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই দুর্যোগের ফলে নিচু এলাকায় পানি জমে যেতে পারে। রাস্তা প্লাবিত হতে পারে এবং কাচা বাড়ি ও রাস্তার ক্ষতি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা/সুচরিতা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি
শ্রমিক সমাজের মুক্তির জন্য ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যালি, আলোচনা সভা ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল থেকে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
গাজীপুরে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না, তা আজ প্রমাণিত। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরি বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে তার নির্বাচনি এলাকায় শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেছেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোনো পথ নেই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সে পথেই হাঁটবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
মে দিবসে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাটসহ সাংগঠনিক জেলাগুলো সভা-সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক