রিয়াল মাদ্রিদের হলো কী? একটা সময় মনে হচ্ছিল হেসে খেলেই লা লিগার শিরোপা ধরে রাখবে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে হঠাৎ ছন্দ হারায় লস ব্ল্যাঙ্কসরা। শেষ ৪ ম্যাচে মাত্র এক জয় নিয়ে শনিবার (১ মার্চ, ২০২৫) রিয়াল বেটিসের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না ‘মাদ্রিদের সাদারা’। সব মিলিয়ে শেষ ৫ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে নিজেদের অবস্থা আরও ঘোলাটে করল আনচেলত্তির শিষ্যদের।
বেটিসের মাঠ বেনিতো ভিয়ামারিয়াতে গিয়ে ছন্দহীন ফুটবল খেলে রিয়াল। ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। উল্টো এক সময়ের ঘরের ছেলে ইসকোর নৈপুন্যে ২-১ ব্যবধানে হেরে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বড়সড় হোঁচট খেল রিয়াল। হারাতে হলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোলের দেখা পায় রিয়াল। এটাকিং মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াজ লস ব্ল্যাঙ্কসদের এগিয়ে দেন। ৩৪ মিনিটে ইসকোর পাস থেকে বেটিসকে সমতায় ফেরান জনি কারদোসো। বিরতির পর খেলা শুরু হলে ৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি এক সময়ের মাদ্রিদিস্তা ইসকো।
আরো পড়ুন:
রিয়ালের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নেইমার
সোসিয়েদাদ দর্শকদের অসহিষ্ণুতা, ম্যাচের পার্থক্য গড়লেন এনদ্রিক
এই ম্যাচে গোলের পর উল্লাস করে সমালোচনার জন্ম দিলেন ইসকো। এই ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মালাগা থেকে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন। ইসকোকে প্রাধান্য দিয়ে কম্বিনিশান ঠিক রাখতেই লস ব্ল্যাঙ্কসরা ছেড়ে দেয় মেসুত ওজিলের মতো মিডফিল্ডার। যে প্রত্যাশা নিয়ে ইসকোকে রিয়ালে আনা হয়েছিল তার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। রিয়ালের জার্সিতে ৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি ৩ লা-লিগা শিরোপা জেতেন তিনি। তবে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে এভাবে উদযাপনকে মোটেই সহজভাবে নিচ্ছে না মাদ্রিদ সমর্থকরা।
এদিকে ম্যাচ হারের পর রিয়াল বস আনচেলত্তি বলেন, “সত্যিই বড় এক ধাক্কা। আমাদের জেগে উঠা দরকার। লিগের এই পর্যায়ে হেরে যাওয়া খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমরা ভালো খেলিনি। প্রথমার্ধে আমরা ২৭ বার বল খুইয়েছি। এটা অনেক বেশি।”
রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে এই মঙ্গলবারেই মাঠে নামতে হচ্ছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। আনচেলত্তি এভাবে খেললে জিততে পারবেন না তারা, “আমরা যদি এভাবে খেলি, মঙ্গলবার আমরা জিততে পারব না। ব্যাপারটা পরিষ্কার। আশা করছি হারটা আমাদের জাগিয়ে দেবে। আমাদের অনেক বেশি সংগঠিত হতে হবে।”
লা লিগায় ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেল রিয়াল। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাতলেটিকো।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।