নিউজিল্যান্ডের অনেক কিছু পাওয়ার ম্যাচ
Published: 2nd, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বের পর্দা নামছে ভারত-নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে। আজ (২ মার্চ, ২০২৫) বিকাল ৩টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইতিমধ্যেই সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলা এই দুই দল। তবে কি এই ম্যাচটা কেবল নিয়ম রক্ষার? মোটেই না। আসরের পরের দুই ধাপের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটা, বিশেষ করে কিউইদের জন্য।
বৈশ্বিক আসরে আইসিসির বাড়তি সুবিধা পাওয়া ভারত জানে যে, তারা আসরের প্রতিটা ম্যাচই দুবাইয়ে খেলবে। সেমি ফাইনালে রোহিত শর্মাদের সম্ভাব্য দুই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ব্যাপারেও খুব একটা হিসেব-নিকেশ মেলাবার নেই ভারতের।
তবে নিউ জিল্যান্ডের জন্য এই সমীকরণ গুলো মেলাতে হবে। প্রথমত, মিচেল স্যান্টনারের দল যদি ফাইনালে উঠে, তাহলে এই ভারতের বিপক্ষেই মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদের। সেক্ষেত্রে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি। সুতরাং আজকের ম্যাচটা থেকে কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা শেখার আছে কিউইদের। রাওয়ালপিন্ডি কিংবা করাচির তুলনায় একদমই ভিন্ন আচরণ করবে দুবাইয়ের উইকেট।
আরো পড়ুন:
জয় শাহের সাথে সাক্ষাতের পর পাকিস্তান যাবেন ফারুক
প্রোটিয়া বোলিং তোপে দিশাহারা ইংল্যান্ড
দ্বিতীয়ত, ফর্মের তুঙ্গে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখিও হতে চাইবে না নিউ জিল্যান্ড। সেক্ষেত্রে তাদের ভারতের বিপক্ষে জিততেই হবে।
এদিকে প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ কার্যকরী এবং ক্যালকুলেটিব ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে নিউ জিল্যান্ড। তাদের মূল স্পিনার কাপ্তান স্যান্টনারের পাশাপাশি মাইকেল ব্রেসওয়েলও দারুণ বোলিং করছেন তবে কিউদের মূল শক্তির জায়গা তাদের অলরাউন্ডাররা। রাচিন রাবীন্দ্র, গ্লেন ফিলিপস এবং নাথান স্মিথরা ব্যাট এবং বলে দারুণ কার্যকরী। এই আসরে এখন পর্যন্ত ভারতীয় পেসাররা দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। তবে এরপরও ব্ল্যাক ক্যাপসরাই দেখিয়েছে আসরের সেরা পেস আসরের
অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে কন্ডিশন বিবেচনায় রোহিত-কোহলিরাই এগিয়ে থাকবে। তাছাড়া একই মাঠে টানা খেলা এবং ভ্রমণের ক্লান্তি না থাকায় সামগ্রিক পারফরম্যান্সে এই ম্যাচে ভারই মূলত এগিয়ে। রোহিতের দলেরও শক্তির জায়গা তার তিন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল এবং রবীন্দ্র জাদেজা। দুই পেসার মোহাম্মদ শামি এবং হার্ষিত রানাও দিচ্ছেন নিজেদের সেরাটা। দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী করছে টিম ইন্ডিয়ার টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা।
এই দুই দলের এখন পর্যন্ত ১১৮ মোকাবেলায় ৬০ ম্যাচ জিতে এগিয়ে আছে ভারত। অন্যদিকে ৫০ জয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই নিউ জিল্যান্ড। অন্যদিকে ৭ ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছিল; অমিমাংসীত ছিল ১ ম্যাচ।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন
মাস দুয়েক আগেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ লাফ দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে টানা ব্যর্থতার কারণে সেই অর্জন ফিকে হয়ে গেল। টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারের ধাক্কায় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ নিচে নেমে গেল আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের দল।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপসেরা হয়ে মূল পর্বে ওঠার পর আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছিল, যা ছিল দলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অবস্থান। সেই সময় তাদের র্যাঙ্কিং পয়েন্ট ছিল ১১৮০।
আরো পড়ুন:
আসিফের মন্তব্যে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ
ফ্লাইট মিস করার পর ঢাকায় পা রাখলেন হামজা
এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সাফল্যের পর বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দেখা দিয়েছে ধারাবাহিক অবনতি। সাম্প্রতিক সময়ে খেলা চারটি ম্যাচের ফলই ছিল নেতিবাচক, যা র্যাঙ্কিংয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।
অক্টোবর (ব্যাংকক): থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যথাক্রমে ৩-০ এবং ৫-১ গোলে পরাজিত হয়।
নভেম্বর-ডিসেম্বর (ঢাকা): ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত তিন জাতি সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে এবং আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়।
টানা চারটি পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ এখন ১০৪ নম্বর থেকে নেমে এসেছে ১১২ নম্বরে। তাদের বর্তমান র্যাঙ্কিং পয়েন্টও ১১৮০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১৬৮।
যে দলগুলোর কাছে বাংলাদেশ হেরেছে, তাদের র্যাঙ্কিং প্রায় অপরিবর্তিত বা উন্নতি হয়েছে। থাইল্যান্ড (৫৩) এবং আজারবাইজান (৭৪) তাদের পূর্বের অবস্থানেই আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া মালয়েশিয়া এক ধাপ উন্নতি করে এখন ৯১ নম্বরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ নারী দলের এই র্যাঙ্কিং পতন স্পষ্টতই সাম্প্রতিক দুর্বল পারফরম্যান্সের ফল। কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের এখন এই পিছিয়ে পড়া কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
ঢাকা/আমিনুল