ঐন্দ্রিলা আহমেদ। উপস্থাপক, নির্মাতা ও অভিনেত্রী। বাংলাদেশ টেলিভিশনে [বিটিভি] শুরু হয়েছে তাঁর উপস্থাপনায় নতুন অনুষ্ঠান ‘ইফতারের রসুইঘর’। নতুন এ অনুষ্ঠান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন

উপস্থাপনার ক্ষেত্রে বেশ বাছবিচার করেন। ‘ইফতারের রসুইঘর’ উপস্থাপনায় আগ্রহী হলেন কেন?

ছোটবেলায় বিটিভিতেই প্রথম উপস্থাপনা করেছি। এ চ্যালেনটির সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেল রান্নার নানা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করলেও বিটিভিতে আর উপস্থাপনা করা হয়ে ওঠেনি। প্রায় দুই দশক পর বিটিভি উপস্থাপনা করছি। অনুষ্ঠানের আইডিয়াটা অসাধারণ। ভিন্ন আইডিয়ার অনুষ্ঠান উপস্থাপনার প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারিনি। আয়োজনে এখানে একজন অতিথি থাকেন। তাঁর সঙ্গে রান্না নিয়ে গল্প আড্ডায় দারুণ সময় কেটে যায়। এটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস, আফরোজা সুলতানা ও এল রুমা। 

১৫ বছর ধরে উপস্থাপনা করছেন। অভিনয়ে আপনাকে খুব একটা দেখা যায় না, এর কারণ কী?

করপোরেট চাকরি করে তারপর পরিবারকে সময় দিয়ে অভিনয়ের জন্য আলাদা সময় বের করা খুব মুশকিল। ইচ্ছা থাকলেও অনেকাংশে সেটা হয়ে ওঠে না। তা ছাড়া যেসব গল্প বা চরিত্র আমার কাছে আসে, সেগুলো আমাকে খুব একটা টানে না। নাটক, সিনেমা ও ওটিটিতে কাজের প্রস্তাব তো নিয়মিতই পাই কিন্তু এমন কোনো গল্প বা চরিত্র এখনও পাইনি, যেটা দেখে মনে হবে যে কাজটা আমার করা উচিত। আর উপস্থাপনায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, এ কারণে উপস্থাপনাকে প্রাধান্য দিচ্ছি।

প্রযোজনাও করছেন.

..

নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক নাটক প্রযোজনাও করেছি। সে কাজগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। আবারও প্রযোজনা করার ইচ্ছা আছে কিন্তু এর জন্যও অনেক বেশি সময় দরকার। এদিকেও সময় দেওয়ার মতো সময় করতে পারছি না। দেখা যাক সামনে কিছু করা যায় কিনা।

বাবাকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা বলেছিলেন–

বাবাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ও পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করব বলে ফিল্ম বিষয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। চলচ্চিত্র নির্মাণে এখন নিজেকে উপযুক্ত মনে করছি, তাই ঘোষণা দিয়েছি চলচ্চিত্র নির্মাণের। বর্তমানে টেবিলওয়ার্ক চলছে। এটি রিসার্চ বেইজড কাজ। পারফেক্টলি করতে হলে অনেক সময় লাগবে। এর জন্য বুলবুল আহমেদের সময়কার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট যারা বেঁচে আছেন, তাদের সঙ্গেও দেখা করব। পাত্রপাত্রী নির্বাচনে একটু সময় লাগবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে  সিনেমার শুটিং শুরু করার ইচ্ছা রয়েছে। 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ন র ম ণ অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ