যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের পাঠানো ‘ব্লু গোস্ট’ মহাকাশযান সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছে। চাঁদের উত্তর-পূর্ব পাশের মেরে ক্রিসিয়াম আগ্নেয়গিরির মনস ল্যাট্রেইল স্থানে অবতরণ করেছে মহাকাশযানটি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বেসামরিক কোনো প্রতিষ্ঠানের পাঠানো মহাকাশযান চাঁদে অবতরণ করল।

ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসন কিমের তথ্যমতে, চাঁদে অবতরণকারী মহাকাশযানটি স্থিতিশীল ও সোজা হয়ে অবতরণ করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বেসামরিক যান চাঁদে অবতরণ করেছিল। তার কিছুটা পাশেই নতুন যানটি নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, চাঁদে নিরাপদে অবতরণ করেছে ব্লু ঘোস্ট।

আরও পড়ুনচাঁদ হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী হবে২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মিশনটির নাম রাখা হয়েছে গোস্ট রাইডারস ইন দ্য স্কাই। চাঁদে অবতরণকারী মহাকাশযানটির বিষয়ে নাসার বিজ্ঞান মিশন অধিদপ্তরের সহযোগী প্রশাসক নিকি ফক্স বলেন, ‘আমরা আনন্দিত, আমরা চাঁদে নেমেছি।’ নাসার তথ্যমতে, মহাকাশযানটির মাধ্যমে নাসার ১০টি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত যন্ত্র চাঁদে পৌঁছেছে। এই অভিযান ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে২০ জুন ২০২৪

চাঁদ অভিযানে খরচ কমানোর লক্ষ্যে বেসামরিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে নাসা। মিশনে চাঁদে অবতরণকারী গোল্ডেন ল্যান্ডারের আকার একটি জলহস্তীর সমান। ১৫ জানুয়ারি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয় যানটি। ব্লু ঘোস্টে চন্দ্রের মাটি বিশ্লেষণ করার একটি যন্ত্রসহ বিকিরণ-সহনশীল কম্পিউটার যুক্ত আছে।

সূত্র:এনডিটিভি

আরও পড়ুনচাঁদ আসলে কী২৮ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে আবারও বিমান বিপর্যয়, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ২৫০ হজযাত্রী

ভারতের লখনৌতে অবতরণের সময় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ল্যান্ডিংয়ের পরই বিমানের বাঁ দিকের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে, দেখা যায় স্ফুলিঙ্গও। পাইলটের তৎপরতায় নিরাপদভাবে ২৫০ জনকে নামানো হয় লখনৌয়ে।

রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি-৩১১২ শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দা থেকে রওনা দেয়। রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিমানটি লখনৌয়ের চৌধুরি চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের কথা রয়েছে। 

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, অবতরণের ঠিক পরপরই বিমানের বাঁ দিকের চাকায় ধোঁয়া এবং আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট বিপদ সংকেত পাঠান কন্ট্রোল রুমে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে আনা হয় ট্যাক্সিওয়েতে।

তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিমানবন্দরের এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। ফোম ও জল ব্যবহার করে ২০ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পরিস্থিতি। এরপর একে একে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় সব যাত্রী ও কর্মীদের। সৌভাগ্যবশত, কারো কোনো চোট লাগেনি।

তদন্তে জানা যায়, বিমানের হুইল অ্যাসেম্বলিতে আচমকা হাইড্রলিক তরল লিক করায় অতিরিক্ত ঘর্ষণে বেশি তাপ তৈরি হয়েছিল। সেটাই ধোঁয়া ও স্ফুলিঙ্গের কারণ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সমস্যা যদি উড়া চলাকালীন বা টেক-অফের সময় ঘটত, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত।

ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালেও পাইলটের দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইটটি হাজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দা থেকে এসেছিল এবং খালি অবস্থায় সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে আবারও বিমান বিপর্যয়, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ২৫০ হজযাত্রী