৭০০ কোটি টাকা মূলধন বাড়াল ব্র্যাক ব্যাংক
Published: 3rd, March 2025 GMT
৭০০ কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ক্যাপিটাল বেস বাড়াল ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাসেল-৩ গাইডলাইন অনুযায়ী এই বন্ড ইস্যু সম্পন্ন হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের ব্যালেন্স শিটে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় এই বন্ডটি ব্যাংকটির ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়েসি রিকয়্যারমেন্ট পূরণে সহায়তা করবে। এই অতিরিক্ত মূলধন ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটকে পূর্বের তুলনায় আরো দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি করতে অবদান রাখবে। ব্যাংকটির এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটের উন্নয়নেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই বন্ডে বিনিয়োগের জন্য গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সর্বমোট ৬৬৩ স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারী এই দীর্ঘমেয়াদি সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডে বিনিয়োগ করেছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ৫৬৭ জন ব্যক্তি। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি থেকে সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত এবং দেশের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাংকের ইস্যু করা বন্ড হওয়ায় এই বন্ডে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
বন্ডের সাবসক্রিপশন সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “অর্থের নিরাপদ ও সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক বছরের পর বছর ধরে গ্রাহক এবং বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জন করে চলছে। বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডে বিনিয়োগ এই আস্থারই প্রতিফলন। এজন্য আমরা বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আমাদের সহকর্মী এবং এই সফলতার সাথে জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।”
এই বন্ডের প্রধান আয়োজক হিসেবে কাজ করেছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। এছাড়াও ব্যাংকটির ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, এসএমই এমএফআই টিম এবং কর্পোরেট ব্যাংকিং টিম দ্রুততম সময়ে পূর্ণাঙ্গ সাবসক্রিপশন সম্পন্ন করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই বন্ডটি বিনিয়োগকারীদের একটি দীর্ঘমেয়াদি বন্ড মার্কেট তৈরিতে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করে ব্যাংকটি।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।