টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে আলোচিত পিকনিকের চার বাসে শিক্ষা ডাকাতির ঘটনায় আরো দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রংপুরের শফিকুল ইসলাম শরিফ, এবং রূপন চন্দ্র ভাট। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে বাস ডাকাতির ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এর মধ্যে ২ জন বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন। অন্য ৪ জন বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মো.

মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসান এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম শরিফ এবং রূপন চন্দ্র ভাটকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় জড়িত অন্য পাঁচ জন গত শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থানায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে টাঙ্গাইলে আনা হবে।”

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চারটি বাসে করে নাটোরের একটি পিকনিক স্পটের দিকে রওনা দেয়। বাসগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৪০ জন অভিভাবকসহ মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ছিল। বাসগুলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের ফুলমালির চালা এলাকায় পৌঁছালে, সড়কে গাছ ফেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে উঠে ডাকাতি চালায়। এ সময় তারা দেড় লাখ টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণ এবং ১০টি স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন এবং অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

টাঙ্গাইল/কাওছার/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর এ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ