১১ জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস: আসিফ মাহমুদ
Published: 11th, July 2025 GMT
১১ জুলাইকে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) আয়োজিত ১১ জুলাইয়ের পুলিশি হামলার বর্ষপূর্তিতে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রক্ত ঝরেছিল। ফ্যাসিবাদী সরকারের পুলিশ নগ্নভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়ে। এর খানিক পরেই কুবির শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন, যা দেশব্যাপী আন্দোলনে রসদ জুগিয়েছে। তাই ১১ জুলাইকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করছি।”
আরো পড়ুন:
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলছে তারুণ্যের উৎসব
বঙ্গীয় বদ্বীপের মানুষের সংকটকালে তুরস্ক পাশে দাঁড়িয়েছে: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
তিনি আরো বলেন, “জুলাইয়ের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে আশা করি।”
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনটি শিক্ষার্থী পরিবহন বাস উপহারেরও ঘোষণা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ১১ জুলাই বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে প্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জে সেদিন ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশি আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশব্যাপী এ খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। ঢাকাসহ সারা দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা অবরোধের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কার্যত অচল করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
কুবিতে আয়োজিত ১১ জুলাই স্মরণসভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১১ জ ল ই প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ‘ট্রেলারমাত্র’: তাজুল ইসলাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের হত্যা করতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার যে অডিও রেকর্ড নিয়ে বিবিসি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটি ‘ট্রেলারমাত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার বিকেলে বিবিসির ওই প্রতিবেদন ফেসবুকে জুড়ে দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাজুল ইসলাম লেখেন, ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন। এই কল রেকর্ড উদ্ধার করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলারমাত্র। অনেক কিছু এখনো বাকি। অপেক্ষায় থাকুন।’
এদিকে সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের খবর সংগ্রহকারী প্রতিবেদকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এই অডিও রেকর্ড নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। সেখানে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তকালে শেখ হাসিনার কয়েকটি অডিও রেকর্ড জব্দ করে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেসব রেকর্ড যাচাই করে ফরেনসিক রিপোর্ট গ্রহণ করে।
তিনি আরও বলেন, রিপোর্টে দেখা যায়, শেখ হাসিনা আন্দোলন চলাকালে লেথাল উইপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। তদন্ত সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সেই অডিও রেকর্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করে। প্রসিকিউশন এটিকে বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে ইতিমধ্যে দাখিল করেছে।
গাজী মোনাওয়ার হুসাইন বলেন, বিবিসি শেখ হাসিনার সেই অডিও রেকর্ডটি তাদের মতো করে অনুসন্ধান করে তারও সত্যতা পেয়েছে। বিবিসি নিশ্চিত করেছে, সেই অডিও রেকর্ড সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রসিকিউশন মনে করে, বিবিসির সেই প্রতিবেদনের কারণে ট্রাইব্যুনালের বিচারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
এই প্রসিকিউটর জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য আছে বৃহস্পতিবার। তিনি বলেন, আগামীকাল যদি ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন, তাহলে আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা যে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন, সেই অডিও রেকর্ডটি সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করবেন তারা।