১১ জুলাইকে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) আয়োজিত ১১ জুলাইয়ের পুলিশি হামলার বর্ষপূর্তিতে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রক্ত ঝরেছিল। ফ্যাসিবাদী সরকারের পুলিশ নগ্নভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়ে। এর খানিক পরেই কুবির শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন, যা দেশব্যাপী আন্দোলনে রসদ জুগিয়েছে। তাই ১১ জুলাইকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করছি।”

আরো পড়ুন:

নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলছে তারুণ্যের উৎসব

বঙ্গীয় বদ্বীপের মানুষের সংকটকালে তুরস্ক পাশে দাঁড়িয়েছে: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

তিনি আরো বলেন, “জুলাইয়ের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবে আশা করি।”

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনটি শিক্ষার্থী পরিবহন বাস উপহারেরও ঘোষণা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ১১ জুলাই বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে প্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জে সেদিন ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশি আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশব্যাপী এ খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। ঢাকাসহ সারা দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা অবরোধের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কার্যত অচল করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

কুবিতে আয়োজিত ১১ জুলাই স্মরণসভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড.

হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম, জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১১ জ ল ই প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিকে মুক্ত করার অঙ্গীকারে ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থানে ঝাপিয়ে পড়েন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “শহীদ শব্দটি শুধু ব্যক্তিগত প্রাণ উৎসর্গ নয়, এটি একটি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মতো ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শহীদ ইমাম হাসান তায়িম সেই আত্মত্যাগের প্রতীক।”

তিনি বলেন, “রাজধানী থেকে অনেক দূরে একটি ধানের ক্ষেতের পাশে শুয়ে আছে তায়িম। তার আত্মত্যাগ কিসের জন্য, সেটা যেন মানুষ ভুলে না যায়। কারো জমি দখল বা গ্রাম-গ্রামের দ্বন্দ্বের জন্য নয়, একটি জাতিকে মুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে ঝাপিয়ে পড়েছিল তিনি। শহীদদের আত্মদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুরে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ইমাম হাসান তায়িম ভূঁইয়ার কবর জিয়ারতের পর তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী শহীদ তায়িমের মায়ের উদ্দেশে বলেন, “তায়িম পরিবারের কথা না শুনে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। সন্তান ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এই সন্তানহারা মা শোক নিয়ে বেঁচে আছেন। গণতন্ত্রের জন্য তায়িমরা এখনো প্রস্তুত। তার আত্মত্যাগ যেন আমরা কখনো না ভুলি—এটাই তার প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা।”

এর আগে, তায়িমের কবর জিয়ারতের পর রিজভী তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে চেক প্রদান এবং সমবেদনা জানান।

উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় বিএনপি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি, চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ, পৌর বিএনপি সভাপতি এবিএম সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. আলমগীর খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদল নেতা এড. তৌহিদুল ইসলাম বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল আহ্বায়ক ডা. সাইফুল্লাহ বাপ্পি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম কর্ম দিয়ে জয় করেছেন মানুষের হৃদয়
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
  • জাতিকে মুক্ত করার অঙ্গীকারে ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থানে ঝাপিয়ে পড়েন