মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির চিঠি পাওয়ার পরে তার প্রশংসা করেছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। একইসঙ্গে ট্রাম্পকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার জানিয়েছে, জান্তা মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক পত্রকে পুঁজি করে তার শাসনের প্রতি ওয়াশিংটনের প্রথম প্রকাশ্য স্বীকৃতি বলে মনে করছে।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতায় থাকা মিন অং হ্লাইং ট্রাম্পের চিঠির জন্য ‘আন্তরিক কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেছেন। অথচ চিঠিতে ট্রাম্প মিয়ানমারের পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।

জান্তা প্রধান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘শক্তিশালী নেতৃত্ব’ এবং ‘সত্যিকারের দেশপ্রেমের চেতনায়’ জাতীয় সমৃদ্ধির দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরিচালিত করার জন্য প্রশংসা করেছেন।

মার্কিন কূটনীতিকরা আনুষ্ঠানিকভাবে মিন অং হ্লাইং বা ক্ষমতাসীন জান্তার সাথে যোগাযোগ করেন না।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক উপদেষ্টা রিচার্ড হর্সি বলেছেন, “এটিই প্রথম প্রকাশ্য আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি যা আমি দেখেছি।”

তিনি জানান,সামরিক সরকার এটিকে কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে ‘আমেরিকার সাথে পেছনের দরজা দিয়ে এক ধরণের পুনর্সাধারণীকরণ’ করার চেষ্টা করছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুকে কাছে পেয়ে রঙিন হয়ে ওঠে আষাঢ়ের সন্ধ্যা

দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর হাসি-আড্ডায় মেতেছিলেন তারা। কেউ তুলছিলেন সেলফি। নিজের সন্তানকে বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন কেউ কেউ। আবার মঞ্চে উঠে নির্দ্বিধায় গাইছিলেন গান, করছিলেন আবৃত্তি। 

গতকাল শুক্রবার আষাঢ়ের সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে হা-মীম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের ব্যাংকুয়েট হলে এমনই দৃশ্যের অবতারণা হয়। ‘আষাঢ়ে আমরা’– এই শিরোনামে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘শতবর্ষী রাজেন্দ্র কলেজ: আমার ভালোবাসা’।

এদিন বিকেল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ামাত্রই তাদের সঙ্গে করছিলেন গভীর আলিঙ্গন। নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন বন্ধুদের। শুরু হয় গল্প-গুজব আর স্মৃতিচারণ। তারা যেন কিছু সময়ের জন্য পৃথিবীর সব ব্যস্ততা ভুলে গিয়েছিলেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদার। অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ায় রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষক ও আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা অধ্যাপক ড. রানা চৌধুরী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। 

রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অনেকেই অনেক দূর থেকে ভালোবাসার টানে এসেছেন। তারা হয়তো ভালো কোনো আয়োজন ছেড়ে এসেছেন। কারণ হলো, এখানে এলে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে; অনেক গুরুজনের সঙ্গে দেখা হবে– এই আশায়। তাদের কারও সঙ্গে ভবিষ্যতে দেখা নাও হতে পারে। আমরা চাইব পরের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী যেন আরও বেশি হয়।

এর পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সংগীত পরিবেশন করেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক বিষ্ণুপদ সাহা, রাহিন সুলতানা, শিল্পী সাহা, ফেরদৌসী নাজমা প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সদস্য ড. আবুল হাশেম।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমকালের প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, আমাদের সময়ের সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) ফারুক ই আজম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ