বরিশালে মৎস্য বিভাগের স্পিডবোটের সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষ, জেলের মৃত্যু
Published: 4th, March 2025 GMT
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মৎস্য বিভাগের স্পিডবোটের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষে নদীতে পড়ে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কালাবদর নদীতে ঘটনাটি ঘটে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য বিভাগের মেরিন ফিশারিজ অফিসার সুকান্ত কুমার রায় এতথ্য জানান।
মারা যাওয়া জেলের নাম মিরাজ ফকির (৩০)। তিনি মেহেন্দিগঞ্জের মিয়ার চর এলাকার ফখরুল ফকিরের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে ডোবায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
বগুড়ার ক্লিনিকে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য বিভাগের মেরিন ফিশারিজ অফিসার সুকান্ত কুমার রায় বলেন, “মাছ শিকারের জন্য কালাবদর নদীর শ্রীপুর এলাকায় নিষিদ্ধ বাধা জাল ফেলেছেন জেলেরা এমন খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে সেখানে অভিযান চালায়। নদী থেকে জাল তোলার সময় ৮/১০টি জেলে নৌকা তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় এক নৌকা এসে তাদের স্পিডবোটের ওপর উঠিয়ে দেয়। এসময় নৌকা থেকে এক জেলে নদীতে পড়ে যান।”
তিনি আরো বলেন, “তাকে উদ্ধার করে জেলেরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
মেহন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) এনামুল হক বলেন, “স্পিডবোট ও জেলে নৌকার সংঘর্ষে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মৎস য ব ভ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।