সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার সাবেক সহকারীদের কাছ থেকে ১৭০ মিলিয়ন রিঙ্গিত ও ১৬ কেজি সোনার বার জব্দ করেছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)।

এমএসিসির বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, এই তদন্ত সাবরি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রচারণা ও জনসংযোগের জন্য বরাদ্দ তহবিল এবং ব্যয়ের কাজে ব্যবহৃত। তদন্তটি মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৯ এবং অর্থপাচার, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও অবৈধ সম্পদের আইন ২০০১-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

মালয় মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর এমএসিসি সাবরিকে তার সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল এবং তিনি ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তার সম্পদের হিসাব দেন। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) ইসমাইল সাবরির সাবেক চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে।

তাদের বাসভবন এবং আরও তিনটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মুদ্রায় প্রায় ১৭০ মিলিয়ন রিঙ্গিত নগদ জব্দ করেছে যার মধ্যে বাহাত, রিয়াল, পাউন্ড স্টার্লিং, ওন, ইউরো, সুইস ফ্রাঙ্ক এবং ইউয়ানও রয়েছে। এছাড়াও ১৬ কেজি বিশুদ্ধ সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭ মিলিয়ন রিঙ্গিত।

দেশটির সরকারি নিউজ এজেন্সি বারনামা জানিয়েছে, ইসমাইল সাবরিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তদন্তকারীরা প্রয়োজনে তাকে আবার তলব করতে পারে। এছাড়া তদন্তের জন্য প্রায় ১০ জন সাক্ষীকে ডাকা হতে পারে। এমএসিসি নিশ্চিত করেছে যে, এই তদন্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন ও পেশাদারি ভাবেই পরিচালিত এবং আইনের পূর্ণ অনুসরণ করে করা হচ্ছে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: এমএস স তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা  সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। 

সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।

এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি