পোপ ফ্রান্সিস গতকাল সোমবার দুই দফায় শ্বাসপ্রশাসজনিত গুরুতর জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ভ্যাটিকান এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, চিকিৎসকেরা পোপের ফুসফুস থেকে কফ বের করে এনেছেন। এ প্রক্রিয়ার পুরোটা সময় তাঁর জ্ঞান ছিল।

শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়তার জন্য ৮৮ বছর বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস অক্সিজেন মাস্ক ও ভেন্টিলেটর ব্যবহার আবার শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। তিনি চিকিৎসকদের সহায়তাও করছেন।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পোপ ফ্রান্সিস ১৮ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর এ নিয়ে তৃতীয় দফায় তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছাল।

গত শুক্রবার ভ্যাটিকান জানিয়েছিল, পোপ ফ্রান্সিস শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন। তখন তাঁর বমিও হচ্ছিল।

গতকাল পোপের অবস্থার অবনতি হয়। এ অবস্থায় তাঁকে আবার ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়।

বর্তমানে পোপ ফ্রান্সিসের যে শারীরিক অবস্থা, তাতে তিনি ভ্যাটিকানের আসন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রার্থনায় সশরীরে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে পারবেন না। এ অবস্থায় তাঁর লিখিত মন্তব্য প্রকাশ করছে ভ্যাটিকান।

আরও পড়ুনপোপের শারীরিক অবস্থা এখনো ‘গুরুতর’, বিপদ কাটেনি২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভ্যাটিকানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতালির রাজধানী রোমের যে হাসপাতালে পোপ ফ্রান্সিস ভর্তি আছেন, সেখান থেকেই তিনি প্রার্থনার জন্য লিখিত মন্তব্য পাঠিয়েছেন। তাঁর জন্য প্রার্থনা করায় তিনি মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি তাঁর চিকিৎসাসেবার জন্য চিকিৎসাদলকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

১২ বছর ধরে রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পোপ ফ্রান্সিস বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২১ বছর বয়সে তাঁর একটি ফুসফুসের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছিল।

আরও পড়ুনজটিল শারীরিক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র র ক অবস থ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ