বন্দরে ২৬নং ওয়ার্ডের   ডকইয়ার্ড-২ বিআইডব্লিউ টিসি প্রধান প্রকৌশলী আবু আল-আব্দুল হামিদ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার  অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগকারী শ্রমিকরা চাকুরী হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। প্রকৌশলী আবু আল-আব্দুল হামিদ সৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসন আমলে  ঢাকেশ্বরী বিআইডব্লিউটিসির ডকইয়ার্ড-২ এ যোগদান করেন।

সরকারি চাকুরীর বিধি মোতাবেক যদিও দুই বছরের অধিক একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার নিয়ম নেই। তারপরও কোন খুঁটির জোরে তিনি দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে চাকুরী করছেন? তার সময়ে মাত্র ১টি ফেরী ও ১টি পল্টন-৭ মেরামত করা হয়েছে। তাও আবার পল্টন-৭ পাটুরিয়া ফেরীঘাট গিয়ে ভেঙ্গে গিয়েছে। এমনকি জেডিতে দীর্ঘদিন যাবত স্লীপওয়ে অব্যবস্থাপনা ও অকার্যকর করে রেখেছেন। 

যার কারনে জাহাজ ওঠানামার সময় রশি ছিড়ে গিয়ে গাড়ির চাকা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতিসহ মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে। অথচ এই বিষয়ে আব্দুল হামিদ উর্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে নিজের মনগড়া মতো কাজ করেন। এমনকি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রশাসনিক অফিস ভবন নির্মান করা হলেও সেখানে বসে অফিসের কোন কাজ পরিচালনা করেননা। 

যেখানে নতুন প্রশাসনিক ভবনে অফিস পরিচালনা করা চেয়ারম্যানের নির্দেশ রয়েছে সেখানে নিয়মনীতির বালাই মানছেনা। অথচ নতুন ভবন  দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না করার কারনে ময়লা বাসা বেদে চুনা রং খসে পড়ছে। বর্তমানে কলমিলতা জাহাজটি মেরামত করতে গিয়ে তীরে উঠাইতে গিয়ে নিম্নমানের গাড়ির চাকা ব্যবহার করার ফলে ভেঙ্গে গিয়েছে। 

কাউকে না জানিয়ে সম্পূর্ণ নিজ মনগড়া মতে জাহাজটি তীরে তুলছে। যেখানে ১০/১৫ জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন সেখানে মাত্র ৩/৪ জন্য শ্রমিক দিয়ে জাহাজটি তীরে তুলতে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া শ্লিপ ওয়ে পরিষ্কার করাতে বাজেট এনে কাজের বুয়াকে দিয়ে দুপুরের রান্না করে খায়। শ্রমিকদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যাহা একজন উচ্চ পদস্থ অফিসারের নিকট মোটেও কাম্য নয়। তার ভয়ে শ্রমিকরা একটা সেকশন থেকে অন্য সেকশনে কাজ করতে গিয়ে অর্ধাঙ্গ পুড়ে যায়। 

শুধু তাই নয় শ্রমিকরা আব্দুল হামিদের কথামত কাজ করতে না চাইলে তাদেরকে অন্যত্র বদলী করার হুমকি দেয়। শ্রমিকদের অভিযোগ অন্যান্য ডকইয়ার্ডে ওভারটাইম চালু থাকলেও ২নং ডকইয়ার্ডে গত দুই বছরের অধিক সময় কোন ওভারটাইম নেই। কোন কিছু চাইতে গেলেই টিডির উপর দোষ চাপিয়ে দেন। বলেন টিডি আমাদের শোষন করে কিছুই দিচ্ছে না। এমনকি প্রয়োজনীয় কোন কথা বলতে গেলে টিডিকে দায়ী করেন। 

বর্তমানে সন্ধা মালতি জাহাজের শুধু ইঞ্জিন ফিটিংসের জন্য ডকইয়ার্ডে আছে। অথচ এক মাসের কাজ দুই বছর লাগিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা  কিছু বলতে গেলেই সম্পূর্ণ দোষ টিডির উপর চাপিয়ে দেন। এমন হাজারো অভিযোগ থাকা সত্বেও তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাকে অন্যত্র বদলী করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিক সহ অন্যান্য ষ্টাফগন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রকৌশলী আবু আল-আব্দুল হামিদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এবং শ্রমিকদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ দ ই বছর

এছাড়াও পড়ুন:

ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়

জীবন সুস্থ রাখার জন্য চাই সুস্থ ফুসফুস, সুস্থ নিঃশ্বাস আর বিশুদ্ধ বাতাস। ফুসফুসের যত্নের শুরু মাতৃজঠরে থাকার সময় থেকেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সংক্রমণ, সময়ের আগে অপরিণত অবস্থায় স্বল্প ওজনে জন্ম নেওয়া শিশুর ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আবার জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। এ কারণে হবু মা এবং নতুন মায়ের যত্ন শিশুর সুস্থ ফুসফুসের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে ধূমপায়ী বাবা শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যই নয়, এমনকি যে শিশুটি এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। ধূমপায়ী মায়েদের জন্য এ কথা আরও বেশি সত্য। 

ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এ সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। পুরো পৃথিবী ছোট্ট করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়েছিল। একইভাবে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমনকি বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগেরও আকর এই ফুসফুস। অথচ সামান্য স্বাস্থ্যবিধি, যেমন– নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

বর্তমান সময়ে পরিবেশদূষণ ও বায়ুদূষণ একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। বায়ুদূষণের সরাসরি আঘাত হয় ফুসফুসে। বায়ুদূষণের জন্য অ্যাজমা, সিওপিডিসহ বিভিন্ন রোগ ফুসফুসের শ্বাসনালির বাধাজনিত কারণে সৃষ্টি। সজীব নির্মল বায়ু নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা ফুসফুসের যত্নের একটি অংশ।

জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেশা বেছে নিই। তার মধ্যে এমন কিছু পেশা আছে, যা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন– পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ওয়েলডিং, আঁশ ও তুষজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এ পেশার কারণে তৈরি ছোট ছোট ধূলিকণা বা সূক্ষ্মতন্তু আমাদের ফুসফুসে আটকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করলে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে সম্পর্কে আমরা মোটেও সচেতন নই। তাই ‘অকুপেশনাল হেলথ’ বা জীবিকা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সম্মিলিতভাবে সবাই উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ফুসফুসের তথা সঠিক স্বাস্থ্যরক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময়। করোনা মহামারি আমাদের সে শিক্ষাটাই দিয়েছে।

লেখক: চিকিৎসক, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ , বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিষ্যদের কড়া বার্তা দিলেন রিয়ালের নতুন কোচ আলোনসো
  • মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবক নিখোঁজ 
  • বিশ্ববাজারে আজও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
  • ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রকে থামাইতেই হইবে
  • বন্ধু হওয়ার সুযোগ দিন, শত্রু নয়
  • ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’
  • যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ
  • একদিনে আয় ৮১ লাখ, ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের তাণ্ডব!
  • ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়
  • দ্বিতীয় ট্রিপেই মেঘনায় ডুবল বালুবাহী বাল্কহেড