দফায় দফায় বৈঠক শেষে অবশেষে ৩৩ ঘণ্টা পর জামালপুরে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শহরের টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড মোড়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঘোষণা দিয়ে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।

এসময় সকলের উদ্দেশে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সোবহান এবং জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভ।

এ সময় পরিবহন নেতারা জানান, ধর্মঘট শুরুর পর থেকে দফায় দফায় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয় তাদের। সর্বশেষ সন্ধ্যায় জামালপুর সার্কিট হাউজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা ও সকলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় সকলে সড়কে নিরাপত্তাসহ গাড়ি পোড়ানো ও শ্রমিকের উপর হামলা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন তারা।

আরো পড়ুন:

জামালপুরে বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ  

ঈদের ছুটিতে দেশে এসে সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ

এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.

কে. এম. আব্দুল্লাহ-বিন-রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন, জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিবসহ বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন: জামালপুরে বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ

বাস পোড়ানো ও শ্রমিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে জামালপুরে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা। এতে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
 

ঢাকা/শোভন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক খুলেছে, ভিড় নেই তেমন

পবিত্র কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধের পর আজ রোববার দেশের সব ব্যাংক খুলেছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে লেনদেন। তবে সকালে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিলের শাখাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই ব্যাংকে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কোনো কোনো ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে। তবে টানা বন্ধের পর ব্যাংক খুললে যে ধরনের ভিড় হওয়ার কথা, তেমন ভিড় নেই। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।

গুলশান ও মতিঝিলের দুটি শাখার ব্যবস্থাপক প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকে এখন নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনের বেশি চাপ হয় না। ঈদের আগে নতুন নতুন টাকার জন্য শুধু চাপ হয়। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্যই বেশির ভাগ গ্রাহক ব্যাংকে আসেন। ফলে টানা বন্ধ থাকলে লেনদেনে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে একটানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যেও একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে।

বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ সময়ে অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি। তবে অনলাইন বা ইন্টারনেটনির্ভর লেনদেন চালু ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ