সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন ৪ দিনের রিমান্ডে
Published: 6th, March 2025 GMT
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক মো. সোয়েবুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
আফতাব উদ্দিন সরকার নীলফামারী-১ (ডোমার- ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হন। একই আসন থেকে এরপর আরও দুইবার নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি গা ঢাকা দেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী-কন্যাসহ খাইরুজ্জামান লিটনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান জানান, বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়া এলাকায় ছেলের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চার মাস ধরে ওই বাসায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ইতফা আক্তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো.
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাহামুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলেসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ২৯ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেন মুন্নার বাবা আব্দুল মজিদ। এ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঢাকা/আমিরুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র র জ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’