রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক মো. সোয়েবুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

আফতাব উদ্দিন সরকার নীলফামারী-১ (ডোমার- ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হন। একই আসন থেকে এরপর আরও দুইবার নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি গা ঢাকা দেন।

আরো পড়ুন:

স্ত্রী-কন্যাসহ খাইরুজ্জামান লিটনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান জানান, বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়া এলাকায় ছেলের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চার মাস ধরে ওই বাসায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ইতফা আক্তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো.

মজিদ আলী জানান, সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট রংপুর রাজা রামমোহন ক্লাবের সামনে গুলিতে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় হত্যাচেষ্টা এবং নীলফামারী সদর থানার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি তিনি।

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাহামুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলেসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ২৯ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেন মুন্নার বাবা আব্দুল মজিদ। এ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। 
 

ঢাকা/আমিরুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র র জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ