কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সুরাজপুরের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম জান্নাত আরা (৪০)। তিনি ওই এলাকার ফজল করিমের স্ত্রী। তিনি চার মেয়ে ও দুই ছেলের মা। রাতে বাড়ির উঠানে চুল্লিতে ধোঁয়া দিয়ে তামাকপাতা শুকানোর সময় একটি বন্য হাতি তাঁকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় দেয়। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সুরাজপুর-মানিকপুর এলাকাটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে তামাকের চাষ হয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে তামাকপাতা খেত থেকে তুলে চুল্লিতে ধোঁয়া দিয়ে শুকাচ্ছিলেন তামাকচাষিরা। জান্নাত আরার বাড়ির উঠানেও একটি তামাকচুল্লি রয়েছে। গতকাল রাতে এই চুল্লিতে তামাকপাতা শোকানোর সময় হঠাৎ একটি বন্য হাতি আক্রমণ করে জান্নাত আরাকে। হাতিটি শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জান্নাত আরার।

স্থানীয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিমুল হক হাতির আক্রমণে জান্নাত আরার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বিচারে পাহাড় ও বনজ সম্পদ ধ্বংস করার কারণে হাতির আবাসস্থল নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া পাহাড়ে হাতির চরম খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে বন্য হাতিগুলো বারবার বসতঘরে ও ফসলের খেতে আক্রমণ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ন ন ত আর বন য হ ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ