লিভারপুল ৩ : ১ সাউদাম্পটন

দারুণ এক জয়ে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল লিভারপুল। মোহাম্মদ সালাহর মাইলফলক গড়া জোড়া গোলের রাতে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে লিভারপুলের জয় ৩-১ ব্যবধানে। এদিন অবশ্য শুরুতে পিছিয়েই পড়েছিল লিভারপুল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আর্নে স্লটের দল এবং আদায় করে নেয় গুরুত্বপূর্ণ এক জয়।

ঘরের মাঠে পাওয়া এই জয়ের পর লিভারপুলের পয়েন্ট এখন ২৯ ম্যাচে ৭০। দুইয়ে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ২৭ ম্যাচে ৫৪। অর্থাৎ দুই ম্যাচ হাতে রাখা আর্সেনাল এখন পিছিয়ে আছে ১৬ পয়েন্টের ব্যবধানে। আগামীকাল রাতে আর্সেনাল মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এই ম্যাচে জিতলে ব্যবধানটা ১৩-তে আনতে পারবে গানাররা।

অ্যানফিল্ডে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে বেশ চাপের মুখে রাখে তারা। কিন্তু বারবার গোলের কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে লিভারপুল আক্রমণভাগ। প্রথমার্ধে লিভারপুল ৭৬ শতাংশ বলের দখল রেখে শট নেয় ১২টি, যার মাত্র ২টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা।

আরও পড়ুনলিভারপুল কবে চ্যাম্পিয়ন হবে২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অন্য দিকে প্রতিপক্ষ আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলা সাউদাম্পটন ৪ শটের ৩টি লক্ষ্যে রেখে আদায় করে নেয় গোলও। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লিভারপুলের এলোমেলো হয়ে পড়া ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন উইল স্মলবোন। এই গোলে ঘরের মাঠে হারের শঙ্কা নিয়েই বিরতিতে যায় লিভারপুল।

গোলের পর নুনিয়েজের উল্লাস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক

২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।

রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।

রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’

২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই হাজারি ক্লাবে গিয়ে মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
  • এবার হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে সিটি ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক