Samakal:
2025-05-01@05:43:17 GMT

শত পদের অপূর্ব স্বাদ

Published: 8th, March 2025 GMT

শত পদের অপূর্ব স্বাদ

রমজান উপলক্ষে হোটেল পেনিনসুলায় শুরু হয়েছে ‘রমজান ইফতার ফিস্ট’। পেনিনসুলার এক্সিকিউটিভ শেফ মিলরয় নানায়াক্কারা ও তার শেফ টিমের তত্ত্বাবধানে ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি শতাধিক সুস্বাদু খাবারের মেনুতে সাজানো থাকছে ইফতার ও ডিনার আয়োজন। হোটেলটি নিয়ে এসেছে ‘ইফতার বোনানজা’ স্প্রেডও। এর মধ্যে ইফতার টেকওয়ে বক্সের দাম মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা। থাকছে পটেটো মোজারেলা স্টিকস, কর্ন ফ্লেক্স ক্রাস্টেড চিকেন, মেক্সিকান চিকেন অ্যাঞ্জেল পিৎজা, হানি বি বিবিকিউ চিকেন স্কেভারস, টেংরি কাবাব, স্কচবেল কাবাব, বেগেফেবল, বেগফেল, মেক্সিকান চিকেন পিৎজাসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু আইটেম। এ ছাড়া ইফতার মেনুতে রয়েছে কোফতা কাবাব, হালিম, আস্ত তান্দুরি চিকেন, বিফ তেহারি, জিলাপি, বাসবুসা, খেজুর পুডিং। টাটকা ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হোম ডেলিভারির জন্য ফুডপান্ডা ও পাঠাওয়ের মাধ্যমে অনলাইনে অর্ডারের সুবিধা রাখা হয়েছে।
পেনিনসুলা চিটাগংয়ের জেনারেল ম্যানেজার সুমেধা গুণবর্ধন বলেন, ‘আমাদের এক্সিকিউটিভ শেফ মিলরয় নানায়াক্কারা ও তার পেশাদার শেফ টিমের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা মজাদার ও আকর্ষণীয় ইফতার গ্রাহকদের অন্যতম পছন্দ। আমরা সবসময় ইফতারে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি। এবার আমরা শতাধিক মেন্যু রেখেছি, যা অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন।’ 
পেনিনসুলার হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও নগরবাসীকে ভিন্ন স্বাদের আমেজ দিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খাবারের নিত্যনতুন আইটেম আর আকর্ষণীয় শতাধিক পদের রাজকীয় ইফতারের আয়োজন করেছে হোটেল দি পেনিনসুলা। রাখা হয়েছে ইফতারের নানা প্যাকেজও। যেখানে মিলছে একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার। ফলে ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার দিয়েও এসব খাবার উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া রাজকীয় ইফতার আয়োজন নিয়ে চলছে ‘রমজান ইফতার ফিস্ট’।’ 
হোটেলটির সিনিয়র ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পেনিনসুলার বিশেষ ইফতার আয়োজনে রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০ টাকায় ট্র্যাডিশনাল প্ল্যাটার, ১ হাজার ৪০০ টাকায় কন্টিনেন্টাল প্ল্যাটার ও ১ হাজার ৭৫০ টাকায় পেনিনসুলা প্ল্যাটার, যা পেনিনসুলার অভ্যন্তরীণ আউটলেটে পরিবার ও  বন্ধুদের সাথে উপভোগ করা যাবে। ২৩০০ টাকায় ওজন প্ল্যাটার উপভোগ করা  যাবে পেনিনসুলার ওজন লাউঞ্জে। ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে কর্পোরেট ইফতার বক্স এবং ৯৫০ টাকা থেকে ব্যাঙ্কুয়েট ইফতার প্যাকেজের সুবিধাও দিচ্ছে পেনিনসুলা।’
পেনিনসুলার লেগুনা ও সিরাস স্কাই ডাইনিংয়ে জনপ্রতি ৪২০০ টাকায় ইফতার ও ডিনার বুফে উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। নির্দিষ্ট কার্ডে ৪২০০ টাকায় বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি এবং ৬০০০ টাকায় বাই ওয়ান গেট থ্রি ফ্রি অফার রয়েছে। এছাড়া সেহরির জন্য, লেগুনা রেস্টুরেন্টে মাত্র ২০০০ টাকায় স্পেশাল বুফে উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। নির্দিষ্ট কার্ডে ৪০০০ টাকায় বাই ওয়ান গেট থ্রি ফ্রি অফার রয়েছে সেহেরিতে। যে কেউ এসব মোবাইল নাম্বারে (০১৭৫৫৫৫৪৫৭৯, ০১৭৫৫৫৫৪৬২৪) যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিস্তারিত জানতে পারবেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র উপভ গ করত য় ইফত র প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ