১. শব্দগুলোর পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ পড়ি।

সৌভাগ্য, প্রকৃতি, বৈচিত্র্য, বেলাভূমি, প্রান্তর, স্বজন, সার্থক, সাংরাই, বিজু।

শব্দ শব্দের অর্থ

সৌভাগ্য — ভালো ভাগ্য।

প্রকৃতি — নিসর্গ।

বৈচিত্র্য — বিভিন্নতা।

বেলাভূমি — সমুদ্রের তীরে বালুময় স্থান।

প্রান্তর — মাঠ, জনবসতি নেই এমন বিস্তীর্ণ স্থান।

স্বজন — আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, নিজের লোক।

সার্থক — সফল।

সাংরাই — রাখাইনদের নববর্ষ উত্সব।

বিজু — চাকমাদের নববর্ষ উত্সব।

শ্রদ্ধা—বিশেষ সম্মান, ভক্তি।

ধাঁচ—প্রকৃতি, ধরন, রকম।

পরস্পর—একের সঙ্গে অন্য।

জাতিসত্তা—জাতি গোষ্ঠি।

তঞ্চঙ্গা—পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ।

মারমা— বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ।

২.

শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

প্রকৃতি, সৌভাগ্য, বৈচিত্র্য, বেলাভূমি, প্রান্তর, সার্থক

ক. আমাদের — যে আমরা এ দেশে জন্মেছি।

খ. আমাদের দেশে রয়েছে সুন্দর — ।

গ. কোথায় পাহাড়, কোথায় নদী, কোথায়-বা এর

সমুদ্রের —।

ঘ. একই দেশ, অথচ কত —।

ঙ. দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, —, পাহাড়, সমুদ্র —এইসব।

চ. দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই — হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।

আরও পড়ুনসাধারণ জ্ঞান: ফেব্রুয়ারি–২০২৫।। বাংলাদেশ ও আর্ন্তজাতিক বিশ্ব০৪ মার্চ ২০২৫

উত্তর:

ক. আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এ দেশে জন্মেছি।

খ. আমাদের দেশে রয়েছে সুন্দর প্রকৃতি।

গ. কোথায় পাহাড়, কোথায় নদী, কোথায়-বা এর সমুদ্রের বেলাভূমি।

ঘ. একই দেশ, অথচ কত বৈচিত্র্য।

ঙ. দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র এই সব।

চ. দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন

*লেখক: খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা