দুই ঘণ্টার আগুনে নিঃস্ব চট্টগ্রামের শতাধিক ব্যবসায়ী
Published: 9th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার আতুরার ডিপো এলাকায় লাগা আগুনে পুড়ে গেছে ৬০টিরও বেশি দোকান, আড়ত ও গুদাম। এতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন শতাধিক ব্যবসায়ী।
রবিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে লাগা আগুনে পুড়ে যায় এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফায়ার সার্ভিস দুই ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল এলাকায় আড়ত ও গুদামে আগুন
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল এলাকায় আড়ত ও গুদামে আগুন
ভালুকায় যুবকের দেওয়া আগুনে পুড়ল স্কুল
আতুড়ার ডিপো এলাকার কলার আড়তের কর্মী আনোয়ার বলেন, “এখানে কলা, আনারস ও তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের আড়ত ছিল। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানকার প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী আজকের আগুনে পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কেউ কিছু রক্ষা করতে পারেননি।”
সবজি ব্যবসায়ী সাইফুর জানান, “আমার সবজির আড়ত ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনে সব পুড়ে শেষ। আমার পুঁজি সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার মতো অনেক ব্যবসায়ী আজকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।”
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেন, “আজ বিকেল ৩টার দিকে আমরা আগুন লাগার খবর পাই। ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ, কালুরঘাট এবং আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এখানে জুটের গুদাম, ফল-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচা মালের আড়ত এবং বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। আগুনে ৬০টি দোকান ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিরূপন করা সম্ভব হয়নি। আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ব ভ ন ন ধরন র ক ব যবস য় র আড়ত
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক