মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের নিরাপত্তার শঙ্কায় রবিবার (৯ মার্চ) আদালতে নিতে পারেনি পুলিশ। এ কারণে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।

পুলিশ জানায়, আদালতের মূল গেটে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ করে রেখেছিল। এ কারণে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এর আগে, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ দুপুরে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতর থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তারা মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের আশ্বাসে দুপুর আড়াইটার দিকে আদালতের মূল গেটে ছেড়ে তারা ভায়নার মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

আরো পড়ুন:

মাগুরার শিশু ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় ৪ আসামির রিমান্ডের আবেদন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মামলা সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, মামলার মূল অভিযুক্ত শিশুটির বোনের শ্বশুরকে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তখনো মামলা না হওয়ায় আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে পরদিন শুক্রবার তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। 

শিশুটির মা শনিবার (৮ মার্চ) মামলা করেন। এখন ধর্ষণের মামলায় প্রথম ওই আসামিকে (বোনের শ্বশুর) গ্রেপ্তার দেখাতে হবে। এজন্য আসামিকে আদালতে হাজির করার বাধ্যবাধকতা আছে। এ ছাড়া তিনিসহ অন্য আসামিদের রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে হাজির করার বাধ্যবাধকতা আছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

আলাউদ্দিন বলেন, “ধর্ষণ মামলার চার আসামি কারাগারে আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আসামিদের নিরাপত্তা শঙ্কা থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা যায়নি। রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা সম্ভব হয়নি।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জ র কর ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ