আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরে নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় বারের মত শিরোপা জিতল ভারত। রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যখন বাই দলের জয়ের আনন্দে ব্যস্ত ছিল, বিরাট কোহলি মোহাম্মদ শামির মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন এবং তার পা ছুঁয়ে সালাম করে শুভেচ্ছা জানালেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৃদয়স্পর্শী এই ঘটনার ভিডিও সবার মন জয় করে নিয়েছে।

উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিতে বড়দের পায়ে স্পর্শ করা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা একটি ঐতিহ্য, যা সম্মান, বিনয়, ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি প্রতীক। এটি বয়জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার একটি মাধ্যম।

এদিকে বিরাট শামির পরিবারের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর এক সাথে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই ব্যাপারটা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত

এক যুগ পর ভারত চ্যাম্পিয়ন

একন হ্যান্ডেলে এক ব্যবহারকারী লিখেন, “বিরাট কোহলি মোহাম্মদ শামির মায়ের পায়ে স্পর্শ করলেন এবং শামির পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি তুললেন। তিনি সত্যিকারের একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় এবং নয়া ভারতের অন্যতম সেরা দূত। যখন আগ্রাসন দেখানোর দরকার হয়, তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি তা দেখান এবং যখন নম্রতা দেখানোর দরকার হয়, তখন তিনিই সেটিও করেন।”

বয়জ্যেষ্ঠদের পা স্পর্শ করার ঐতিহ্য কেবল একটা রীতি নয়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে আধ্যাত্মিক, মানসিক ও বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও আছে এর পেছনে। বড়দের পায়ে স্পর্শ করা তাদের ত্যাগ,  জ্ঞান ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি উপায়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে, যখন আমরা আন্তরিকভাবে কারও পায়ে স্পর্শ করা হয়, তখন তাদের কাছ থেকে ‘সুখে থাকার শক্তি’ ও ‘আশীর্বাদ’ পাওয়া যায়। যা আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে সাহায্য করতে পারে।

বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয়, বড়দের পায়ে স্পর্শ করার সময় শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, শরীর নমনীয় থাকে। তাছাড়া নম্রতা ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয় এই রীতি। যা উপমহাদেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপমহ দ শ

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ