শামির মার পা স্পর্শ করে হৃদয় জিতলেন বিরাট
Published: 10th, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরে নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় বারের মত শিরোপা জিতল ভারত। রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যখন বাই দলের জয়ের আনন্দে ব্যস্ত ছিল, বিরাট কোহলি মোহাম্মদ শামির মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন এবং তার পা ছুঁয়ে সালাম করে শুভেচ্ছা জানালেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৃদয়স্পর্শী এই ঘটনার ভিডিও সবার মন জয় করে নিয়েছে।
উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিতে বড়দের পায়ে স্পর্শ করা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা একটি ঐতিহ্য, যা সম্মান, বিনয়, ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি প্রতীক। এটি বয়জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার একটি মাধ্যম।
এদিকে বিরাট শামির পরিবারের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর এক সাথে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই ব্যাপারটা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়।
আরো পড়ুন:
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত
এক যুগ পর ভারত চ্যাম্পিয়ন
একন হ্যান্ডেলে এক ব্যবহারকারী লিখেন, “বিরাট কোহলি মোহাম্মদ শামির মায়ের পায়ে স্পর্শ করলেন এবং শামির পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি তুললেন। তিনি সত্যিকারের একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় এবং নয়া ভারতের অন্যতম সেরা দূত। যখন আগ্রাসন দেখানোর দরকার হয়, তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি তা দেখান এবং যখন নম্রতা দেখানোর দরকার হয়, তখন তিনিই সেটিও করেন।”
বয়জ্যেষ্ঠদের পা স্পর্শ করার ঐতিহ্য কেবল একটা রীতি নয়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে আধ্যাত্মিক, মানসিক ও বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও আছে এর পেছনে। বড়দের পায়ে স্পর্শ করা তাদের ত্যাগ, জ্ঞান ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি উপায়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে, যখন আমরা আন্তরিকভাবে কারও পায়ে স্পর্শ করা হয়, তখন তাদের কাছ থেকে ‘সুখে থাকার শক্তি’ ও ‘আশীর্বাদ’ পাওয়া যায়। যা আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে সাহায্য করতে পারে।
বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয়, বড়দের পায়ে স্পর্শ করার সময় শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, শরীর নমনীয় থাকে। তাছাড়া নম্রতা ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয় এই রীতি। যা উপমহাদেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।