ওয়ান-ইলেভেনে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভুল ভূমিকার কথা স্বীকার করে সাবেক উপরাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিচের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

তবে দলটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ভুল ভূমিকার স্বীকৃতি শুধু কথায় না, তাদের নীতির ফলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে জনগণকে যে নির্যাতন নিপীড়ন করেছে তার দায়ও নেওয়া উচিত। বিশেষ করে মজলুমদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

এছাড়া আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো ও পরবর্তী ১৬ বছর ফ্যাসিবাদ কায়েমে নানা নির্যাতন নিপীড়নে সরাসরি জড়িত থাকায় ভারতের ভূমিকা মূল্যায়নের জন্য কমিশন গঠনেরও দাবি জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

রবিবার (৯ মার্চ) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান আনিছুর রহমান ও সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার ঢাকায় এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপরাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিচের দেওয়া বক্তব্যে স্পষ্ট যে, সেনাবাহিনীর জেনারেল ও ব্রিগেডিয়াররা ভারতের মধ্যস্থতায় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে সাজানো নির্বাচন আয়োজন করেছিল, তা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেছিল। এমনকি তড়িঘড়ি করে ওই নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্র চাপও দিয়েছিল।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভুল ভূমিকার কথা স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতের ভূমিকারও মূল্যায়ন করা জরুরি হয়ে গেছে। কারণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো ও পরবর্তীতে ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী জুলুম পীড়ন চর্চায় ভারতের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। এর মধ্যে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার দুই মাসের মাথায় বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় ৫৭ জন বীর সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, যেখানে ভারতের সম্পৃক্ততা ওপেন সিক্রেট।

এছাড়াও ভারত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সকল নিপীড়নকে কূটনৈতিক প্রটোকল ভেঙে প্রকাশ্যেই সমর্থন করেছিল। এর মধ্যে একে একে বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতাদের সাজানো বিচারে ফাঁসি, মাওলানা সাঈদীর রায়কে ঘিরে একদিনে দুই শতাধিক মানুষকে গুলি করে হত্যাসহ হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা এবং সর্বশেষ চব্বিশের জুলাই গণহত্যা রয়েছে। ভারত এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, হরহামেশাই বাংলাদেশী নাগরিকদের গুম করে দেশটির কারাগারে নিয়ে আটকে রাখা হতো।

বিবৃতিতে ফ্যাসিবাদী জমানায় ভারতের ভূমিকার মূল্যায়নের দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, দেশটি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটে নিয়েছে। যার মধ্যে অনেক অন্যায্য অসম চুক্তি এখনো বহাল থাকায় বাংলাদেশের জনগণ চব্বিশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরেও শোষণের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় একটি কমিশন গঠন করে ভারতের ভূমিকার সার্বিক মূল্যায়ন করার বিকল্প নেই।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই গণহত্যাসহ ফ্যাসিবাদী নির্যাতন নিপীড়নে ভারতের সরকার ও কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নীরবতা পালন করলেও জনগণ ঠিকই মনে রেখেছে। ভারতকে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক করতে হলে সব ভুল ও অপরাধের কাফফারা দিতে হবে।

শনিবার (৮ মার্চ) এক আলোচনায় বাংলাদেশে তিনবার কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপরাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিচ ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের আঁতাত ও দলটি ক্ষমতায় যাওয়ার পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অধোগতির কথা তুলে ধরেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ভুল করেছে তাও তিনি বর্ণনা করেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমর থ সরক র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • সনদ বাস্তবায়নে আবারো কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি