জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ডাকনাম ও একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। আজ সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে নিজ দপ্তরে এসব তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।

এনআইডি সংশোধনের প্রচুর আবেদন আসছে উল্লেখ করে মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সেই আবেদনগুলোতে দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যক্তির ‘ডাকনাম’ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে সেটা (সমস্যার) সমাধান করা যাচ্ছে না। এ জন্য কালকে (গতকাল রোববার) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এটা নিয়ে যখন বসেছিল, তখন আলোচনায় প্রাথমিক একটা চিন্তা এরকম হয়েছে যে বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ ডাকনাম আলাদাভাবে ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে এনআইডির ২ নম্বর ফরমে ডাকনাম নিয়ে আসা যেতে পারে, যা সম্ভবত অনেক লোককে আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে সহায়তা করবে।

অনেক সময় কোনো কোনো নারী এসে তাঁর নাম স্বামীর এনআইডিতে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন বলেও জানান মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা এটা তো সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে) করতে পারি না। আমরা যদি ২ নম্বর ফরমে, একাধিক স্ত্রী যদি কারও থাকে, যদি সেই নামটা আগেই সংরক্ষণ করে নিই, বা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি, তাহলে দেখা যাবে যে ভবিষ্যতে হয়তো ওই প্রবলেমটা আর থাকবে না। এ জন্য আমরা ২ নম্বর ফরমে এটা রাখার যায় কিনা, এটা নিয়ে আলোচনা করেছি প্রাথমিকভাবে।’

নির্বাচন কমিশন, সচিবালয় বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করলে একাধিক স্ত্রীর নাম এনআইডির ২ নম্বর ফরমে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক ধ ক স ত র ক ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক