সার্ধশত উপলক্ষ্যে মেলবোর্নে দিবারাত্রির টেস্ট
Published: 11th, March 2025 GMT
ক্রিকেটের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেট ১৫০ বছরে পা রাখছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ক্রিকেটের এই সার্ধশত উপলক্ষ্যে মেলবোর্নে একটি দিবারাত্রির টেস্ট আয়োজন করবে।
টেস্ট ম্যাচটি হবে ২০২৭ সালের ১১-১৫ মার্চ। মুখোমুখি হবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলা প্রথম দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
ইতিহাসের প্রথম দ্বিপাক্ষিক স্বীকৃত টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল ১৮৭৭ সালে। মেলবোর্নে দিনের আলোয় লাল বলে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের খেলা হয়েছিল।
একশ’ বছর পরে শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মেলবোর্নে দিনের আলোয় ১৯৭৭ সালেও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড টেস্ট খেলেছিল। সার্ধশত পূর্তিতেও মেলবোর্নে ম্যাচ হবে। তবে এবার দিবারাত্রির গোলাপি বলের টেস্টের আয়োজন করা হচ্ছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টোড গ্রিনবার্গ বলেন, ‘টেস্টের ১৫০ বছর পূর্তির আয়োজনটি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা একটা ম্যাচ হবে। দিবারাত্রির টেস্টের মাধ্যমে ক্রিকেটের ঐতিহ্য উদযাপন করা ও টেস্ট ক্রিকেটের আধুনিক বিবর্তন স্মরণ করার উপলক্ষ্য হবে।’
দিবারাত্রির টেস্ট হওয়ায় ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ম্যাচটি দর্শকের মনোযোগ কাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ম্যাচটি পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হবে না। এটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের বাইরের ম্যাচ হিসেবেই খেলা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপলক ষ য
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওজোনস্তর ক্ষয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে’
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে মানবস্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”
বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের মতো কার্যকর আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে পৃথিবী আজ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আন্তর্জাতিক আইনও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।”
উন্নত দেশগুলো অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করায় ওজোনস্তর রক্ষায় বৈশ্বিক সাফল্য এসেছে মন্তব্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও একইভাবে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা চাই, সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপে রূপান্তরিত করা হোক। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণে পরিবর্তন আনলেই টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন মানিক।
এতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা