স্পেনের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশনের ২০২৫ সালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাঙ্কিংয়ে সারাদেশে দ্বিতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)।

সিমাগো চলতি বছরের র‌্যাংকিংয়ে স্থান পাওয়া দেশের ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাবলিক প্রতিষ্ঠান সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এ সাফল্যে অনুভূতি প্রকাশ করে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ছোট প্রতিষ্ঠাান সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম হয়েছে, যা অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের। এ অর্জন  সিকৃবি পরিবারের প্রত্যেকের।”

আরো পড়ুন:

সিলেটে আ.লীগ নেতা বিজিত চৌধুরী গ্রেপ্তার 

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ২ মামলা খারিজ

এ সফলতা ধরে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, “গবেষণার মান বৃদ্ধির জন্য আমরা বাইরের দেশের সঙ্গে কোলাবরেশন বৃদ্ধি ও অর্থায়নের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সাউরেসের (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম) মাধ্যমে ১০৫টা প্রজেক্ট দিয়েছি আমরা। কেজিএফ প্রজেক্টের কাজ চলমান। এছাড়া আমাদের শিক্ষকরা প্রায় ২৪টি হিট প্রজেক্টে অ্যাপ্লাইসহ বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করছেন। আমরা গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে এ সেক্টরে ফান্ড বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করছি।”

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউরেস কেন্দ্রিক ৩ বছর বা ১ বছরের বিভিন্ন প্রজেক্ট আমরা দিচ্ছি। এতে করে ছাত্ররা এখানে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং তা সমাধানের জন্য কাজ করবে।”

সিমাগো র‌্যাংকিংয়ে দেশের সেরা ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চিটাগং, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছরের মার্চ মাসে এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করে স্পেনভিত্তিক এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।

মূলত গবেষণা, সামাজিক প্রভাব এবং উদ্ভাবন এই তিনটি সূচকের ফলাফল পর্যালোচনা করে র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ তিনটি সূচকের ফলাফল অনুযায়ী আলাদা র‌্যাংকিং এবং একসঙ্গে সার্বিক র‌্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে। সার্বিক র‌্যাংকিং করার জন্য তারা গবেষণায় ৫০ শতাংশ, উদ্ভাবনে ৩০ শতাংশ এবং সামাজিক প্রভাবে ২০ শতাংশ ওয়েট দিয়ে থাকে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত য় অবস থ ন ইউন ভ র স ট আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ