সিমাগো র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 11th, March 2025 GMT
স্পেনের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশনের ২০২৫ সালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিংয়ে সারাদেশে দ্বিতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)।
সিমাগো চলতি বছরের র্যাংকিংয়ে স্থান পাওয়া দেশের ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাবলিক প্রতিষ্ঠান সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ সাফল্যে অনুভূতি প্রকাশ করে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
সিলেটে আ.লীগ নেতা বিজিত চৌধুরী গ্রেপ্তার
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ২ মামলা খারিজ
এ সফলতা ধরে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, “গবেষণার মান বৃদ্ধির জন্য আমরা বাইরের দেশের সঙ্গে কোলাবরেশন বৃদ্ধি ও অর্থায়নের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সাউরেসের (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম) মাধ্যমে ১০৫টা প্রজেক্ট দিয়েছি আমরা। কেজিএফ প্রজেক্টের কাজ চলমান। এছাড়া আমাদের শিক্ষকরা প্রায় ২৪টি হিট প্রজেক্টে অ্যাপ্লাইসহ বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করছেন। আমরা গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে এ সেক্টরে ফান্ড বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করছি।”
তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউরেস কেন্দ্রিক ৩ বছর বা ১ বছরের বিভিন্ন প্রজেক্ট আমরা দিচ্ছি। এতে করে ছাত্ররা এখানে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং তা সমাধানের জন্য কাজ করবে।”
সিমাগো র্যাংকিংয়ে দেশের সেরা ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চিটাগং, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছরের মার্চ মাসে এ র্যাংকিং প্রকাশ করে স্পেনভিত্তিক এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।
মূলত গবেষণা, সামাজিক প্রভাব এবং উদ্ভাবন এই তিনটি সূচকের ফলাফল পর্যালোচনা করে র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ তিনটি সূচকের ফলাফল অনুযায়ী আলাদা র্যাংকিং এবং একসঙ্গে সার্বিক র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে। সার্বিক র্যাংকিং করার জন্য তারা গবেষণায় ৫০ শতাংশ, উদ্ভাবনে ৩০ শতাংশ এবং সামাজিক প্রভাবে ২০ শতাংশ ওয়েট দিয়ে থাকে।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত য় অবস থ ন ইউন ভ র স ট আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ