রাজশাহী গোদাগাড়ী ও তানোর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী মো. ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী মো.

ওমর ফারুক চৌধুরীর জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৩ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজ নামে ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামের ৫৭টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন—এসব অর্থসম্পদের উৎস আড়াল করার জন্য তিনি স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং আইনসহ দুদকের সংশ্লিষ্ট আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

অপরদিকে, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর নামে দুই কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার নামের ১১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে চার কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ৮৪৩ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আ ক ম মোজাম্মেল হক ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিনটি ব্যাংকে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাক সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঋণ বাদে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ৫৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ২৭৭ টাকা। ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ টাকা। তার মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় হলো ২ কোটি ৮২ হাজার ৯০ লাখ ৬৩০ টাকা আর জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ হলো ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা। এই টাকা তিনি ভোগদখলে আছেন। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে পরিচালিত ৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। উত্তোলন করেছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। সন্দেহজনক মোট লেনদেন করেছেন ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সা‌বেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরু‌দ্ধে মামলা
  • মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা