উপকরণ

মেস্তা বা রোজেলা পাপড়িতে জ্বাল দেওয়া পানি সিকি কাপ, লাল আঙুরের রস সিকি কাপ, ওরচেস্টারশায়ার সস ১ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ টেবিল চামচ, আলু মাঝারি আকারের ৩টি, গাজর ৩টি, সেলেরি স্টিক ১টি, বাটন মাশরুম ২০০ গ্রাম, গরুর রানের মাংস দেড় থেকে দুই কেজি, লবণ আন্দাজমতো, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ চার কোনা করে কাটা ২ কাপ, রসুনকুচি আধা কাপ, তেল আধা কাপ, ছোট আস্ত পেঁয়াজ ১ কাপ (খোসা ছাড়ানো), টমেটো পেস্ট ৩ টেবিল চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, চিকেন/বিফ স্টক ৪ কাপ, তেজপাতা ২টি, থাইম পাতা শুকনা ১ চা-চামচ, আনফ্লেভারড জেলাটিন ১ চা-চামচ, মটরশুঁটি আধা কাপ।

আরও পড়ুনসাদা শর্ষের রুই রাঁধবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি১১ মার্চ ২০২৫

প্রণালি

প্রথমে সব কটি সসের সঙ্গে মেস্তার পানি, আঙুরের রস মিশিয়ে নিন। আলু, গাজর কেটে নিন। সেলেরি গোল পাতলা করে কাটুন। মাশরুম চার টুকরা করে নিন। মাংস কিচেন টাওয়েল দিয়ে মুছে নিন। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে রাখুন। চুলায় প্যান দিন। গরম হলে তাতে ২ টেবিল চামচ তেল দিন। ধোঁয়া বের হলে মাংস দিন সাজিয়ে। উচ্চ তাপে দুই পাশ গ্রিল করে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। প্যানে এবার ডাইস করে কাটা পেঁয়াজ দিন, রসুনকুচিও দিন। মাশরুম, গাজর ও আলু দিন। ভেজে তুলে রাখুন। বাকি তেল দিয়ে দিন। আস্ত পেঁয়াজ দিন। কিছুক্ষণ ভেজে এতে টমেটো পেস্ট দিন। মাংস দিন, নেড়ে মেশান। ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার দিন। নেড়েচেড়ে আগে থেকে মিশিয়ে রাখা সস দিন। স্টক দিন। তেজপাতা আর থাইম দিন। একবার বলক আসার অপেক্ষা করুন। এবার ঢেকে আঁচ কমিয়ে ঘণ্টাখানেক রান্না করুন। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিন। ৮৫ শতাংশ সেদ্ধ হলে গাজর, আলু ও মাশরুম মেশান। ১ টেবিল চামচ জেলাটিন পানিতে গুলে দিয়ে দিন। মটরশুঁটি দিন। আবার ঢেকে ৪৫ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন। ঢাকনা খুলে লবণ চেখে নিন। চুলা বন্ধ করুন। স্যুপ হিসেবে খাওয়া যায়, আবার রুটি বা পরোটা দিয়েও ভালো লাগে এই স্টু।

আরও পড়ুনমাটন ভিন্দালুর রেসিপি২২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে ডাকাতি

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, “রাত ১টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। সে সময় বিষয়টি সেভাবে আমলে নেইনি। রাত ৩টার দিকে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে বসলে জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই যুবক। তারা প্রথমে আমাকে, পরে আমার ছেলে সাবিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটিতে একের পর এক লুট করতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ডাকাতি।” 

তিনি বলেন, “ডাকতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৯টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে যায়।”

প্রত্যক্ষদর্শী সাবিদ বলেন, “জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন। পরে ডাকাত দলের আরো ২২-২৩ জন সদস্য বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাইরে আরো কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাত দলের অধিকাংশ সদস্যের মুখে মাস্ক ও গামছা ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে আমাকে দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাটের দরজা খোলান। আমার চোখের সামনে একের পর এক রুমে ডাকাতি হয়।”

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হক বলেন, “আমার তিন ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের পাঠানো প্রায় ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে তোলা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৯টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা আমাদের পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানত। কোন রুমে কী আছে, আমরা কবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি এমনকি বাসায় ওয়াইফাই বন্ধ সবই জানত। আমার ধারণা, স্থানীয় লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।”

ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী লাক মিয়া বলেন, “আমরা ভোর ৫টার দিকে বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে লক করা রুম খুলে আমরা আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।”

রবিবার (৩ নভেম্বর) গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “সকাল ৬টার দিকে দিকে আমি ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ