ওয়ারীতে স্কুল থেকে ফেরার পথে মা–ছেলে নিখোঁজ
Published: 12th, March 2025 GMT
রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পরও শিশুপুত্রসহ এক নারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় হুমায়ুন কবির নামের একজন ব্যবসায়ী স্ত্রী ও সন্তানের নিখোঁজের কথা জানিয়ে ওয়ারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তাঁর স্ত্রী লামিয়া ছেলে আহনাফকে নিয়ে বলধা গার্ডেনসংলগ্ন ইএলসি স্কুলে যান। দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষা শেষে ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তাঁরা বাসায় ফেরেননি।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাঁর স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এরপর তাঁদের আর হদিস নেই।
এই ব্যবসায়ী জানান, গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর দিয়ে আহনাফের নানির মুঠোফোনে কল দিয়ে বলা হয়, ‘আপনার নাতির সঙ্গে কথা বলেন। তখন আহনাফ তার নানিকে বলে আমরা নিরাপদে আছি।’ এ কথা বলেই মুঠোফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও মামলা হিসেবে নেয়নি। তবে হুমায়ুন কবির মনে করেন, এটি অপহরণের ঘটনা। এ কারণে স্ত্রী–সন্তানকে উদ্ধারে র্যাবের কাছেও অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, আহনাফের নানির সঙ্গে কথা বলার সূত্র ধরে মুঠোফোনটির অবস্থান ডেমরার কোনাপাড়ায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মুঠোফোন ব্যবহারকারীর নাম–ঠিকানাও পাওয়া গেছে। এখন মা ও ছেলেকে উদ্ধারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল